খুলনা: পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খুলনায় কোরবানিযোগ্য পশুর পরিচর্যা ও প্রস্তুতি কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও খামারিরা। তবে খরচ বেড়ে যাওয়ায় লাভ নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় আছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর প্রাপ্যতা এক লাখ ৬৩ হাজার ৩১টি, এর বিপরীতে চাহিদা এক লাখ ৫৬ হাজার দুইশত ২৮টি এবং উদ্বৃত্ত থাকবে ছয় হাজার সাতশত ৪৬টি।
খুলনার রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের আল্লার দান গরুর খামারের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রাকৃতিকভাবে গরু বড় করে বিক্রি করে আসছি। ঈদকে সামনে রেখে যেসব গরু বিক্রির জন্য নির্ধারণ করা হয়। সেগুলোকে আলাদাভাবে পরিচর্যা করি। আমরা খামার, স্থানীয় হাটে গরু বিক্রি করি।’
রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষক কামরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঈদুল আজহা সামনে রেখে আমি প্রতিবছর গরু পালন করি। এবার চারটি গরু হাটে তুলব। এ বছর খাবারের দাম বেশি। গরু বেশি দামে বিক্রি করতে না পারলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।’
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক ডা. মো. শরিফুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদানুযায়ী উদ্বৃত্ত রয়েছে। গরুকে দানাদার খাদ্য ও কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর জন্য খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করার ওষুধ সেবনে গরুর যে কোনো সময় প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে খামারিদের সতর্ক করা হয়েছে।’