ঢাকা: কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, উন্নত কৃষি চর্চার মাধ্যমে উৎপাদিত আম স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। আম উৎপাদনে উত্তম কৃষি চর্চা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
শুক্রবার (৩০ মে) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউস্থ কৃষকের বাজারে উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণ করে উৎপাদিত নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, দেশে উৎপাদিত আম সুস্বাদু ও গুনগত মান সম্পন্ন হওয়ায় সারা বিশ্বে চাহিদা রয়েছে। আমাদের সীমাবদ্ধতার কারণে সেগুলো পৌঁছাতে পারি না। উন্নত কৃষি চর্চার মাধ্যমে গ্যাপ পূরণ করে আমরা রফতানি বাড়াতে চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আম ৩৮ টি দেশে আম রফতনি হয়। এ বছর নতুন করে চীন যোগ হয়েছে। গত বছর ১৩ শ মেট্রিকটন আম বিদেশে রফতানি হয়েছে। আমরা আম রফতানি ৫০ হাজার টনে উন্নতি করতে পারি। এর জন্য আম আমদানিকারক দেশের বিধিবিধান মেনে উৎপাদন ও বাজারজাত করতে হবে।
সচিব বলেন, আমের রং ও মৌসুম বাড়াতে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। আমাদের দেশের আম বেশ সুস্বাদু। কিন্তু আমের রং নিয়ে বিদেশে কনফিউশন রয়েছে। সব ধরনের নিরাপত্তা বজায় রেখে কিভাবে আমের রং ও মৌসুম বাড়ানো যায়, তার জন্য আমাদের বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন।
কৃষি সচিব বলেন, ‘আমকে যথাযথভাবে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে আমরা কাজ করছি। এ জন্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একাধিক প্রকল্পও রয়েছে।’
রফতানি বাধা কাটিয়ে উঠতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে জানিয়ে এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, রফতানির সময় যে সমস্যা গুলো হয় সেটা দেখবো। কাস্টমসসহ যে বিষয় গুলোতে দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে তা সমাধানে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নার্গীস আক্তার, প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনিউরশিপ এন্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্যরা।
এর আগে সচিব উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণ করে উৎপাদিত নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ উদ্বোধন করেন।