ঢাকা: জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হিসাবরক্ষকের (কর্মকর্তা) বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্য নিয়ে এম এ খাঁন নামে এক ব্যক্তি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বরাবর অভিযোগ করেছেন। তবে এই অভিযোগকারীর কোনো হদিস না পেয়ে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন হিসাবরক্ষক (কর্মকর্তা) মো. সুলতান নাসির উদ্দিন।
শুক্রবার (২৩মে) শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন হিসাবরক্ষক (কর্মকর্তা) মো. সুলতান নাসির উদ্দিন।
সাধারণ ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘গত ১৩ এপ্রিল এম এ খান নামে এক ব্যক্তি আমার নামে একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগপত্র স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর দাখিল করেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অবগতি না করে এ ধরনের অভিযোগ সরাসরি দাখিল করা ভিত্তিহীন। অভিযোগপত্রে ওই ব্যক্তির ঠিকানা ২৬ নয়া টোলা উল্লেখ করেছে। প্রকৃত পক্ষে অভিযোগকারী ওই ব্যক্তি আমাদের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বা কোনো কাজ-কর্মে জড়িত নয়। এবং তার ঠিকানাও ভুয়া ও মিথ্যা।’
ডায়েরিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করেই তিনি ক্ষ্যান্ত হননি। তিনি বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করে বিভিন্ন ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাচ্ছেন। তার উদ্দেশ্য আমার এবং আমার পরিবারকে হেয় করা।’ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ ধরনের অপপ্রচার বন্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।
জনৈক ওই ব্যক্তি হিসাবরক্ষক (কর্মকর্তা) মো. সুলতান নাসিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তিনি বিগত সরকারের আমলে যোগ্যতা ছাড়াই হিসাবরক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে টেন্ডার বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। এমনকি তার স্ত্রী শামীমা পারভীনকে জাতীয় ইএনটি ইনস্টিটিউটে অবৈধভাবে রিসিভশনিস্ট পদে চাকরি দেন।
এ বিষয়ে সুলতান নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এম এ খান কতৃক আমার চাকরি, আমার স্ত্রীর চাকরি, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্কে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বানোয়াট তথ্য দিয়ে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করেছেন তিনি। এমনকি পেশাগতভাবে মারাত্মক মানমর্যাদা ক্ষুন্ন করেছেন। এ ছাড়া আমার ইনস্টিটিউটের পরিচালক মহোদয়ও অভিযোগের কোনো সত্যতা বা তথ্য পাননি। পরে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।’