রংপুর: রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় পাওনা টাকা ফেরত না পাওয়া এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩০ মে) সকালে গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের মহিপুর এলাকার একটি পাটখেত থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই শিশুর নাম জিসান (১০)। তিনি লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের মহিপুর এলাকার জেসমিন আরা খাতুনের ছেলে। জিসান স্থানীয় একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করতেন।
আর গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি সোহেল রানা লালমনিরহাটের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন ড্রেজার মেশিন চালক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহেল রানা প্রায় দুই বছর ধরে গঙ্গাচড়ার বিভিন্ন এলাকায় ড্রেজার মেশিন চালাতেন। এই সুবাদে তার সঙ্গে জেসমিন আরা খাতুনের পরিচয় হয়। সোহেল তার উপার্জনের টাকা জেসমিনের কাছে জমা রাখতেন। সম্প্রতি জমা রাখা প্রায় ৫০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে জেসমিন তাকে টাকা না দিয়ে উলটো চড় মারেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সোহেল জিসানকে জুতা কিনে দেওয়ার কথা বলে মাদরাসা থেকে নিয়ে যান। বাজার যাওয়ার পথে একটি পাটখেতে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর তিনি লালমনিরহাটে নিজ বাড়িতে পালিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, রাত গভীর হলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জিসানকে না পেয়ে খোঁজ শুরু করে। এ সময় মাদরাসার ছাত্ররা কর্তৃপক্ষকে জানান জিসানকে এক ব্যক্তি নিয়ে গেছেন। পরে পরিবারের সদস্যরা সোহেলের বাড়িতে যান এবং তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ সোহেলকে আটক করে এবং পরে তার দেখানো স্থানে গিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
মাদরাসার প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, রাত ৯টার দিকে এক শিক্ষক দেখতে পান জিসান রুমে নেই। পরে এক ছাত্র জানায়, তাকে তার এক আত্মীয় নিয়ে গেছেন।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল এমরান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।