চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। এতে ভূমিধসের আশঙ্কায় পাহাড়ে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন।
তবে এবার ভারী বৃষ্টিপাত হলেও চট্টগ্রাম নগরীর নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা হয়নি। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাদের নিয়মিত মনিটরিংয়ে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি এবং সিটি করপোরেশনের নালা-নর্দমা পরিষ্কারের তৎপরতার কারণে পানিপ্রবাহ নির্বিঘ্ন আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ অবস্থায় শুক্রবার (৩০ মে) দুপুর থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন রেড ক্রিসেন্টের টিমের মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন পাহাড়ে মাইকিং করছে। প্রস্তুত করা হয়েছে একাধিক আশ্রয়কেন্দ্র।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপের কারণে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতভর চট্টগ্রামে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকেও কখনো মাঝারি, আবার কখনো ভারী বৃষ্টিপাত চলছে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া কার্যালয়ের পূর্বাভাস কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম জুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত আছে। কোথাও কোথাও অতি ভারী বর্ষণও হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৩ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
চট্টগ্রাম নগরীর নিম্নাঞ্চলে গত দুই দশক ধরে অল্প বৃষ্টিতেও জলজট হতো। কিন্তু এবার ভারী বৃষ্টিতেও নগরীর ডিসি রোড, বাকলিয়া, চকবাজার, ফুলতলা, কে বি আমান আলী রোড, চান্দগাঁও, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, প্রবর্তক মোড়, হালিশহর, আগ্রাবাদ, ওয়াসা মোড়- এসব এলাকায় জলাবদ্ধতার খবর পাওয়া যায়নি। খাল-নালা উপচে লোকালয়েও পানি প্রবেশ করেনি।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘যেসব জায়গায় আগে পানি উঠত, সেখানের অধিকাংশতেই এবার ওঠেনি। দুয়েকটি জায়গায় নালায় পানি আটকে রাস্তা ডুবেছিল। সেগুলো আমাদের কর্মীরা দ্রুত গিয়ে বাধা অপসারণ করে পানিপ্রবাহ সচল করেছে। খাল ও নালা-নর্দমা খনন করার কারণে পানিপ্রবাহের পথ পরিষ্কার থাকায় পানি জমছে না।’
এদিকে জেলা প্রশাসনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম নগরীর ফিরোজ শাহ কলোনি, লেকসিটি, মতিঝর্ণা, বাটালি হিলসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় মাইকিং করে সেখানে বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
যারা পাহাড় থেকে সরে যাবেন, তাদের জন্য প্রাথমিকভাবে তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এগুলো হলো- ফিরোজশাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যলয় (ঝিলের পাশে), বি ব্লক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (লেকসিটি সংলগ্ন) এবং লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
আশ্রয়কেন্দ্রে রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।