সুনামগঞ্জ: জেলার তাহিরপুরে পর্যটকবাহী ‘সুলতান হাউজবোট’ আকস্মিক আগুন লেগে ছারখার হয়ে গেছে। তবে ওই বোটে থাকা ১২ পর্যটক অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে পর্যটন স্পট শহীদ সিরাজ লেক (নিলাদ্রী) সংলগ্ন পুটিয়া গ্রামের সামনের নদীতে এই ঘটনা ঘটে।
রাত ৯ টার দিকে সুলতান হাউজবোটের স্টাফ মো. ইব্রাহিম খলিল জানান, শুক্রবার দুপুরে তাহিরপুর সদর ঘাট থেকে ১২ জন পর্যটক নিয়ে হাউজবোট যোগে প্রথমে তারা টাঙ্গুয়া হাওরের ওয়াচ টাওয়ারে আসেন। এখান থেকে বিকেলে নিলাদ্রী লেকে এসে পুটিয়া গ্রামের সামনের নদীতে বোট নোঙ্গর করেন। এ সময় পর্যটকরা যার যার কেবিনের ভেতরে ছিলেন। আর তারা রাতের খাবারের ব্যবস্থা করছিলেন।
তিনি আরও জানান, হাউজ বোর্ডে জেনেরেটর চালানো ছিল। কেবিনের একজন তার মোবাইল ফোনের চার্জার সকেটে লাগানো মাত্রই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। প্রথমে নৌকার স্টাফরা চেষ্টা করছিলেন আগুন নেভাতে, কিন্তু তারা পারছিলেন না, আগুন বাতাসের মধ্যে তীব্র হয়ে উঠে। পরে সঙ্গে থাকা অন্য একটি পর্যটকবাহী নৌকায় পর্যটকদের দ্রুত তুলে দিয়ে কোনোরকমে জীবন রক্ষা করেন। চোখের সামনেই পুরো হাউজবোট দাউ দাউ করে জ্বলছিল। কিন্তু, তাদের কিছুই করার ছিল না।
লেদারবন্দ গ্রামের ফেরদৌস আলম বলেন, ‘হঠাৎ বাড়ি থেকে চিৎকার শুনে বিন্দারবন্দ, পুটিয়া ও লেদারবন্দ গ্রামের লোকজন ছোট নৌকা যোগে গিয়ে নৌকার মাঝি ও পর্যটকদের রক্ষা করেছেন। না হলে আগুনে পুড়ে অথবা পানিতে ডুবে বড়রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। নৌকার মাঝি ও পর্যটকরা অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন।’
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসেম সারাবাংলাকে বলেন, ‘হাউজবোটে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পাঠানো হয়েছে। বোট পুড়ে গেলেও পর্যটকসহ নৌকার মাঝিরা অক্ষত আছেন।’