ঢাকা: টানা দুইদিন বৃষ্টি ও মেঘাচ্ছন্নতার পর শনিবার (৩১ মে) সকাল থেকেই রাজধানীতে দেখা মিলেছে সূর্যের। তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। সেইসঙ্গে রয়েছে হালকা বৃষ্টিপাতের আশঙ্কাও।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সাতক্ষীরা এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত স্থল গভীর নিম্নচাপটি উত্তর বা উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রথমে স্থল নিম্নচাপ, তারপর সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে শেরপুর ও মেঘালয়ে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর বা উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও রংপুর বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।
আর শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে ২২৯ মিলিমিটার। এছাড়া বান্দরবানে ২২২, সিলেটে ১৯৫, রাঙ্গামাটিতে ১৭১, কক্সবাজারে ১৬৭, কুমিল্লায় ১৬৮, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ১৪৩, নোয়াখালীর মাইজদী কোর্টে ১৪১, কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ১৩৮, নেত্রকোনায় ১৩৫, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১৩৪, ফেনী ১৩০, চাঁদপুরে ১৩১, ঢাকায় ১২৭, কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০৯ এবং চট্টগ্রামের আমবাগানে ১০৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে দেশের উপকূলীয় ও পার্বত্য অঞ্চলের জন্য আবহাওয়া অধিদফতর বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
বিশেষ করে চট্টগ্রাম, সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে অতিভারী বর্ষণের কারণে ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকাগুলোকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া ভারী বৃষ্টির কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কিছু অংশে সাময়িক জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।