পাবনা: পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডের খাবার খেয়ে রেনেসাঁ, এ্যাবা ও নাকানোসহ পাঁচটি কোম্পানির প্রায় শতাধিক শ্রমিক ডায়রিয়াজনিত রোগে অসুস্থ হয়েছেন। অসুস্থ শ্রমিকরা ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ চিত্র দেখা গেছে। এর আগে,শুক্রবার (৩০ মে) বেশ কয়েকজন শ্রমিক ডায়রিয়াজনিত রোগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা গেছে, ঈশ্বরদী রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের দুপুরের খাবার সরবরাহ করা হয়। এই খাবার খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই শ্রমিকরা অসুস্থ হতে শুরু করেন। তাৎক্ষণিক কিছু শ্রমিক ছুটি নিয়ে চলে আসলেও পরে মধ্যরাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় শতাধিক শ্রমিক ডায়রিয়াজনিত সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন হাসপাতালে।
এ সময় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অনেকেই বাড়ি চলে যান। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষ ওয়ার্ডে প্রায় ৩২ জন পেটের পীড়া, ডায়রিয়া, বমি ও পেট ব্যথা নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উপজেলার ভেলুপাড়া এলাকার মো. জহুরুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রী ইপিজেডে কাজ করে আসার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তার অতিরিক্ত বমি ও পাতলা পায়খানা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনা হয়েছে।
ইপিজেডের স্টিল হেয়ার কোম্পানির শ্রমিক মোছা. রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে খাবার সময় যে পানি খেয়েছিলাম তাতে দূর্গন্ধ ছিল। সকালে কাজে যোগদান করে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ি। সুস্থ অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। তবে পানির কারণেই সম্ভবত এমন সমস্যা হয়েছে।’
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মোছা. উম্মে হাবিবা শ্রমিকদের অসুস্থতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সবারই খাদ্যে ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে ডায়রিয়া ও পাতলা পায়খানা হয়েছে। বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) প্রেরণ করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে বেপজার পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরেছি। যে কোম্পানির শ্রমিকেরা অসুস্থ হয়েছে সেসব কোম্পানির কর্তৃপক্ষকে অসুস্থ শ্রমিকদের দেখভালের বিষয়টি বেপজার মাধ্যমে অবগত করা হয়েছে।’