ঢাকা: শুধু একটি নয়, বিএনপি এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটসহ দেশের গণতন্ত্রকামী সব রাজনৈতিক দল এবং জোট ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে কোনো টালবাহানা চলবে না। কোনো অজুহাতেই নির্বাচনকে বিলম্বিত করা যাবে না।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের শীর্ষ নেতারা এ সব কথা বলেন।
সমমনা জোটের নেতারা বলেন, ‘গত ৯ মাস ধরে ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের কথা স্পষ্টভাবে বলে এসেছে সমমনা জোট। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের তরফ থেকে এখনো নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি। তারা সংস্কারকে নির্বাচনের মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে। কিন্তু সংস্কারের নামে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কোনো সুযোগ নেই। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। সরকারকে বলব, এ লক্ষ্যে অবিলম্বে নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করুন।’
তারা বলেন, ‘বিএনপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটসহ গণতন্ত্রগামী সব দলই সংস্কারের পক্ষে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছেন। ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত করতে এর বিকল্প নেই। এই ৩১ দফার মধ্যেই রয়েছে রাষ্ট্র মেরামতের যাবতীয় উপাদান। ৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, এটা বিগত স্বৈরাচার আমলে রাজপথে থাকা সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের।’
জোট নেতারা বলেন, ‘এই সরকারের মূল দায়িত্ব হচ্ছে, নির্বাচনমুখী প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষে দ্রুততম সময়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কিন্তু সরকার সেই পথে না হেঁটে ক্ষমতায় থাকার রাস্তা পাকাপোক্ত করার চেষ্টায় ব্যস্ত।’
জোট নেতারা আরও বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছরে এত লড়াই-সংগ্রাম, বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এত মামলা-হামলা, গুম-খুন, সব কিন্তু নির্বাচনের জন্যই। আমরা তাই স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কোনো ষড়যন্ত্র দেশের জনগণ মেনে নেবে না। জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে।’
বিবৃতিতে সই করেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আহ্বায়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসিম খান, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এস এম শাহাদাত হোসেন এবং পিপলস লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গরীবে নেওয়াজ।