চট্টগ্রাম ব্যুরো: মরুর উট নিয়ে চট্টগ্রামে কোরবানির হাটে এসেছে যশোরের বেনাপোলের এক খামারি। আর সেটা নিয়েই যেন উৎসবের আমেজ! দলে দলে মানুষ ছুটে আসছেন উট দেখতে, ইউটিউবাররা মোবাইল আর ক্যামেরা নিয়ে ব্যস্ত।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক কোরবানির পশুর হাটে বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে তিনটি উট। শনিবার (৩১ মে) দিনভর সেই উট নিয়েই সরগরম ছিল এ বাজার।
জানা গেছে, যশোরের বেনাপোলের ফিরোজ-মামুন ডেইরি ফার্ম নামে এক খামারের কর্মচারীরা গত বৃহস্পতিবার সকালে মইজ্জ্যারটেক হাটে উট তিনটি নিয়ে আসেন। শনিবার মাইকে ঘোষণা দেওয়ার পর সেটা জানাজানি হয়। তারা একইসঙ্গে ৫০টি গরুও এনেছেন।

উট নিয়ে চট্টগ্রামে কোরবানির হাটে এসেছে যশোরের বেনাপোলের এক খামারি। ছবি: সারাবাংলা
ওই খামারের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই বছর আগে তাদের খামারে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে উট তিনটি কেনা হয়। তখন একেকটির দাম পড়েছিল ২১-২২ লাখ টাকা। ভারতের গুজরাট, হরিয়ানা রাজ্য কিংবা পাকিস্তান থেকে এসব উট আমদানি করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর স্থলসীমান্ত দিয়ে সেগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

মইজ্জারটেক কোরবানির পশুর হাটে বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে তিনটি উট। ছবি: সারাবাংলা
এরপর গত দু’বছর ধরে তাদের খামারে উট তিনটিকে লালন-পালন করা হয়েছে। প্রতিদিন ভুট্টা, ছোলা, গম, বুটের খোসা, গমের ছোলা ও ঘাস খাওয়ানো হয়েছে সেগুলোকে। এগুলোর একেকটির ওজন এখন ১২ থেকে ১৫ মণ। প্রতিটির দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৫ লাখ টাকা। তিনটি একসঙ্গে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা।

ভারতের গুজরাট, হরিয়ানা রাজ্য কিংবা পাকিস্তান থেকে এসব উট আমদানি করে প্রতিষ্ঠানটি। ছবি: সারাবাংলা
চট্টগ্রামে কোরবানির হাটে সাধারণত গরু, মহিষ, ষাঁড়, খাসি, ভেড়ার চাহিদা থাকে। এবার উট ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। তবে সেগুলো বিক্রি করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে কিছুটা সন্দিহান খামারের কর্মচারীরা।
খামারের কর্মচারী মন্টু মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘সবাই তো গরু-খাসি কিনে। কিন্তু কিছু কিছু শৌখিন ক্রেতা নিশ্চয় আছে, তারা ভিন্ন কিছু চান। শৌখিন ক্রেতাদের কথা চিন্তা করেই উটগুলো আনা হয়েছে। তিনটি একসাথে নিলে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা দাম ধরা হয়েছে। বিক্রি করতে পারলে তো আমাদের কপাল ভালো। না হলে আবার ফেরত নিয়ে যেতে হবে।’