সিলেট: সিলেটের কানাইঘাট সুরমা নদীতে যাত্রিবাহী নৌকার উপরে বজ্রপাত পড়ে তাজুল ইসলাম নামে নৌকার মাঝির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে চাপনগর গ্রামের সুরমা নদীতে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির উত্তর লক্ষীপ্রসাদ নয়াগ্রাম গ্রামের মৃত হবিবুর রহমানের পুত্র তাজুল ইসলাম (৩৬) কানাইঘাট সুরমা নদীর খেওয়াঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে নিজস্ব ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে লোভাছড়া বাগান-বাগিচা ঘাটে যাচ্ছিলেন। সুরমা নদীর চাপনগর খেওয়াঘাট এলাকায় আসলে ভারি বর্ষণের সঙ্গে হঠাৎ করে বজ্রপাত নৌকার উপর পড়লে তাজুল ইসলাম নৌকা থেকে নদীর পানিতে পড়ে তলিয়ে যান।
এ সময় নৌকার যাত্রী উত্তর লক্ষীপ্রসাদ কুকুবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলী ও শামীম আহমদ নামে আরও দুইজন আহত হন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নদীর পানিতে তলিয়ে গেলে তাজুল ইসলামকে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে চাপনগর খেওয়াঘাটের অদূরে সুরমা নদীতে তার নিথর দেহ ভেসে ওঠে। স্থানীয় লোকজন তাজুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাজুল ইসলাম তার নিজস্ব ইঞ্জিনচালিত নৌকার চালক হলেও দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় ফুটবলসহ অন্যান্য খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে তার সম্পর্ক থাকায় বজ্রপাতে মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কানাইঘাটের ক্রীড়াঙ্গনসহ সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাজুল ইসলামের মর্মান্তিক মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনের পাশাপাশি নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন গভীর শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন।
নিহতের ছোট ভাই নজমুল ইসলাম জানান, তাজুল ইসলাম বিবাহিত। তার ছয় বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘বজ্রপাতে তাজুল ইসলাম মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছি। তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
