জবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের প্রোফাইল তথ্য হালনাগাদ দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।
রোববার (১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছে সংগঠনটি।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটির পক্ষ থেকে আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অধিকাংশ শিক্ষকের প্রোফাইলে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা, গবেষণা, প্রকাশনা, ও একাডেমিক অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত তথ্য অনুপস্থিত। অনেক শিক্ষক ছবি পর্যন্ত দেননি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা, একাডেমিক দায়বদ্ধতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে নেতিবাচক প্রস্তাব ফেলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি, গবেষণার গুণমান এবং শিক্ষার পরিবেশ মূল্যায়নের ক্ষেত্রে টাইমস হায়ার এডুকেশন, কিউএস র্যাংকিং, ওয়েবোমেট্রিক্স প্রভৃতি সংস্থা ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলোকেই গুরুত্ব দেয়। অথচ শিক্ষকদের তথ্য না থাকায় আমাদের প্রতিষ্ঠান সেই মানদণ্ডে পিছিয়ে পড়ছে।
স্মারকলিপিতে চারটি দাবি তুলে ধরা হয়। যার মধ্যে রয়েছে; বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষককে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিজ নিজ প্রোফাইল পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে বাধ্যতামূলক করা, আইসিটি সেলের মাধ্যমে একটি কারিগরি সহায়তা ইউনিট গঠন করে শিক্ষকদের তথ্য আপলোডে সহায়তা করা, বিভাগভিত্তিক মনিটরিং কমিটি গঠন করে তথ্য হালনাগাদের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রোফাইল হালনাগাদ না করলে প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের সুস্পষ্ট নীতিমালা নির্ধারণ।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ ও কার্যনির্বাহী সদস্য—আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কাজি আহাদ ও উম্মে হাবিবা।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, “আমরা মনে করি, এই পদক্ষেপগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে এবং গবেষণার পরিবেশকে উন্নত করবে। এটি শিক্ষার্থীদের উপকারে আসবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, তথ্য জানার অধিকার শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার, আর এই অধিকার নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব।”