ঢাকা: বাজেটে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত মোটরযানের ক্ষেত্রে অগ্রিম কর বাড়ছে। এছাড়া, কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তির একের অধিক যত গাড়ি থাকবে তার ওপরও সারচার্জ বাড়ানো হতে পারে। আসছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এমন প্রস্তাব থাকতে পারে।
সোমবার (২ জুন) প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট অধ্যাদেশ জারি হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বিকেল ৩টায় বাজেট ঘোষণা করবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন এই বাজেট ঘোষণা সম্প্রচার করবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৫২ সিটের অধিক আসন বিশিষ্ট বাসের ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকা, ৫২ সিটের কম আসনের বাসের ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা, ডাবল ডেকার বাসের ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের মিনিবাস বা কোস্টারের ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয় এরুপ মিনিবাস বা কোস্টারের ক্ষেত্রে ১২ হাজার ৫০০ টাকা, প্রাইম মুভারে ৩৫ হাজার টাকা, ৫ টনের অধিক পেলোড ক্যাপাসিটি বিশিষ্ট ট্রাক, লরি ও ট্যাংক লরিতে ৩০ হাজার; দেড় টনের অধিক, তবে ৫ (পাঁচ) টনের অধিক নহে এইরূপ পেলোড ক্যাপাসিটি বিশিষ্ট ট্রাক, লরি বা ট্যাংক লরিতে ১৫ হাজার; পিকআপ ভ্যান, হিউম্যান হলার, ম্যাক্সি বা অটো রিক্সায় ৭ হাজার ৫০০; শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্যাক্সিক্যাব ১৫ হাজার; শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয় এরূপ ট্যাক্সিক্যাবে ৭ হাজার ৫০০ টাকা অগ্রিক কর আরোপের প্রস্তাব থাকবে।
আবার, কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি ছাড়া অন্যান্য মোটরযান মালিকরা একাধিক মোটরযানের মালিক হলে, একের অধিক প্রতিটি মোটরযানের জন্য ৫০ শতাংশ অধিক হারে অগ্রিম কর সংগ্রহ করা যাবে না। এই বিধান করা এবং পূর্ববর্তী বৎসর বা বৎসরগুলোতে অপরিশোধিত অগ্রিম করের পরিমাণ নির্ধারণ ও সংগ্রহ সংক্রান্ত বিধান বিলুপ্তের প্রস্তাব থাকতে পারে। কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত মোটরযান হতে অগ্রিম কর সংগ্রহ করা যাবে না- এই বিধান করা; রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক নয়- এরকম ব্যক্তি বা বোর্ড কর্তৃক রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক দাখিল হতে অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে উৎসে কর কর্তন বা সংগ্রহের সাধারণ বিধান প্রযোজ্য হবে না- এই বিধান করা; সিগারেট প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে নিট বিক্রয়মূল্যের ৩ শতাংশ হারের বদলে নিট বিক্রয়মূল্যের ৫ শতাংশ হারে অগ্রিম কর সংগ্রহের প্রস্তাব থাকতে পারে।
এছাড়া, কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তির একাধিক গাড়ি থাকলে একটির বেশি যত গাড়ি থাকবে তার ওপর সারচার্জ বাড়তে পারে। ১৫০০ সিসি পর্যন্ত প্রতিটি মোটরগাড়ির জন্য ২৫ হাজার টাকা, ১৫০০ সিসির অধিক কিন্তু ২০০০ সিসির অধিক নয়, এমন প্রতিটি মোটর গাড়ির জন্য ৫০ হাজার টাকা, ২০০০ সিসির অধিক কিন্তু ২৫০০ সিসির অধিক নয়, এমন প্রতিটি মোটর গাড়ির জন্য ৭৫ হাজার টাকা, ২৫০০ সিসির অধিক কিন্তু ৩০০০ সিসির অধিক নয়, এমন প্রতিটি মোটর গাড়ির জন্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩০০০ সিসির অধিক কিন্তু ৩৫০০ সিসির অধিক নয়, এমন প্রতিটি মোটর গাড়ির জন্য ২ লাখ টাকা, ৩৫০০ সিসির অধিক এমন প্রতিটি মোটর গাড়ির জন্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা সারচার্জ আরোপ করার প্রস্তাব থাকতে পারে। তবে ইলেকট্রিক গাড়ির ক্ষেত্রে সারচার্জ আরোপ না করার প্রস্তাব করা হতে পারে।