নরসিংদী: নরসিংদীতে নারী যাত্রীকে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের মামলায় রাইড শেয়ার মোটরসাইকেল চালক শাহপরানকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।
রোববার (১ জুন) আসামি শাহপরানকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেশকাত ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে সে ওই নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
এর আগে, গতকাল শনিবার (৩১ মে) মধ্যরাতে শাহপরানকে পলায়নরত অবস্থায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পলাশ থানা পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া মোটসাইকেল চালক শাহপরান (৩০) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার তারানগর বটতলী (দক্ষিণ পাড়া) এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গত ২৮ মে বিকালে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে রাজধানীর শ্যামলীতে যেতে মিরপুর ১২ নম্বর থেকে রাইড শেয়ারের মোটরসাইকেলে উঠেন এক সন্তানের জননী ওই ভুক্তভোগী নারী। রাত সোয়া ৯টার দিকে ওই নারীকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভাস্থ পাঁচদোনা-টঙ্গী আঞ্চলিক মহাসড়কের পার্শ্বস্থিত এলিট স্টিল লি. এর ৫০০ গজ উত্তরে একটি কালভার্টের পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন রাইড শেয়ার চালক মো. শাহ পরান। এ সময় নারীর সঙ্গে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে তার স্বজনদের নিকট থেকেও অর্থ আদায় করেন চালক।
পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ মারফত সংবাদ পেয়ে পলাশ থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়৷
এ ঘটনায় ২৯ মে ধর্ষিতা বাদী হয়ে ধর্ষক ও প্রধান আসামি হিসেবে মো. শাহপরানের নাম উল্লেখ করে এবং সহায়তাকারী হিসেবে অজ্ঞাত অপর দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পলাশ থানায় একটি মামলা করেন।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নানের নির্দেশে ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারে সাড়াশি অভিযান শুরু করে থানা পুলিশ, ডিবিসহ পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো। পরে শনিবার (৩১ মে) মধ্য রাতে ধর্ষক শাহপরানকে পলায়নরত অবস্থায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের পর রোববার তাকে আদালতে পাঠানো হয়।