ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাজেটের আকার আরও ছোট হওয়া উচিত ছিল। গুণগত দিক থেকে এই বাজেটে তেমন পরিবর্তন হয়নি। শুধুমাত্র সংখ্যা সামান্য ছোট হয়েছে। মৌলিক কাঠামো আগের সরকারের মতো রয়ে গেছে। এটা আগামী দিনের সরকারের জন্য সহজ কিছু হবে না। প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবতা বিবর্জিত এবং এতে গুণগত কিংবা কাঠামোগত কোনো পরিবর্তন নেই।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে বনানীর হোটেল সেরিনায় নিজ দফতরে তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, ‘‘এই বাজেটে রাজস্ব আয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। ব্যাংক হতে সরকার যদি লোন নেয়, তখন প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ হয় না। রাজস্ব আয়ের পুরোটাই পরিচালনা ব্যয়ে চলে যাবে। রাজস্ব আয়ের ওপর ভিত্তি করে বাজেট করা উচিত।’’
বাজেটের মৌলিক দিক নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে আমির খসরু বলেন, ‘‘এই বাজেটে মৌলিক জায়গায় দূরত্ব রয়ে গেছে। গুনগত দিক থেকে আমরা কোনো পরিবর্তন দেখি না। কাঠামোগত কিন্তু আগের টাই রয়ে গেছে। রাজস্ব আয়ের সঙ্গে বাজেটের আকারের একটা সম্পৃক্ততা থাকা উচিত ছিল।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি সেটা হয়নি। রাজস্ব আয় যেটা হবে তা পুরোটা পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে চলে যাবে। ফলে, উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নের জন্য পুরোটা দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে ঋণ নিতে গেলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’’
আমির খসরু বলেন, ‘‘আগে যে বাজেট হয়েছে, সেখান থেকে এবার সংখ্যাটা ছোট হয়েছে। কিন্তু মৌলিক পরিবর্তন আগের জায়গায় রয়ে গেছে। তারা আগের সরকারের ধারাবাহিকতা থেকে বের হতে পারেনি। আসলে রাজস্ব আয়কে ভিত্তি করে বাজেট করা উচিত। তাহলে প্রাইভেট সেক্টরে টাকার সরবরাহ থাকত। বিনিয়োগ থাকত। সুদের হার কমে আসত। বিদেশি ঋণ কমে আসত। কিন্তু সেই জায়গা থেকে আমরা সরে আসতে পারিনি। সুতরাং আমি মনে করি মৌলিক জায়গার ভুলটা রয়ে গেছে।’’