ঢাকা: করদাতাদের জন্য কর প্রদান, রিটার্ন দাখিল, দলিলপত্র সংরক্ষণসহ কর পরিপালনের আনুষ্ঠানিকতা সহজ করার লক্ষ্যে বেশ কিছু বিধান রাখা হয়েছে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে। এই বিধান অনুযায়ী, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডসহ কোনো আইন বা সরকারি আদেশ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত যেকোনো সংস্থা, কর্তৃপক্ষ, কমিশন, ইনস্টিটিউট, বোর্ড, একাডেমি বা অনুরূপ সংস্থা যারা কোনোরূপ বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে না এবং পরিচালন ব্যয় এর আংশিক বা সম্পূর্ণ নির্বাহের জন্য সরকার হতে নিয়মিত তহবিল প্রাপ্ত হয় সেসকল প্রতিষ্ঠানকে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, তহবিল, এতিমখানা, অনাথ আশ্রম ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত কোনো প্রতিষ্ঠানকে রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। উৎসে কর কর্তনকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতি মাসের পরিবর্তে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে উৎসে করের রিটার্ন দাখিলের বিধান করা হয়েছে। জমি বা জমিসহ স্থাপনা হস্তান্তরকালে দলিল মূল্যের অতিরিক্ত কোনো অর্থ গৃহীত হলে ব্যাংক বিবরণীসহ দালিলিক প্রমাণাদি দ্বারা যাচাইযোগ্য হওয়া সাপেক্ষে উক্ত অতিরিক্ত অর্থের ওপর মূলধনি আয়ের জন্য প্রযোজ্য হারে কর প্রদানের বিধান করা হয়েছে।
স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে দাখিলকৃত রিটার্ন অডিট সংক্রান্ত মাঠ পর্যায়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন করে অডিট কার্যক্রমকে কার্যকর ও সহজীকরণের উদ্দেশ্যে অডিট সংশ্লিষ্ট বিধান প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। করভিত্তি সম্প্রসারণ, কর সংস্কৃতির বিকাশ ও কর পরিপালন সহজ করার লক্ষ্যে বিদ্যমান ৪৫টি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ উপস্থাপনের বাধ্যবাধকতা শিথিল করে ক্রেডিট কার্ডসহ ১২টি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র টিআইএন সার্টিফিকেট দাখিলের বিধান করা হয়েছে।
এছাড়া, নির্দিষ্ট দিনের পর স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।