ঢাকা: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এই উদ্যোগ বাজেটের মূল স্লোগান ‘বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়’ ও জুলাই আন্দোলনের মূল স্পিরিটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লাগ (সিপিডি)। আর বাজেটে মূল্যস্ফীতির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সেটিকেও উচ্চাবিলাসী হিসাবে দেখছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ‘জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ সিপিডির’র পর্যালোচনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। অনুষ্ঠানে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬. ৫ শতাংশ। এটি ধরে রাখা কষ্টকর উবে। এটা উচ্চাবিলাসী।’
তিনি বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে মেক্রো ইকোনমিক দিক থেকে বাজেট আশাব্যঞ্জক। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা অর্জন করা কঠিন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তি শ্রেণীর কর কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সাতটি স্ল্যাব থেকে ছয়টি করা হয়েছে। করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। তবে এটি কার্যকর হবে ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ অর্থবছরে। তবে মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এখন থেকেই এটি বাড়ানো উচিত ছিল। আবার যখন ২০২৬-২৭ অর্থবছরে পা রাখবো তখন মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে, জিনিষপত্রের দাম আরও বাড়বে।’
ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘এবারের বাজেটেও অপ্রদর্শিত অর্থকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সেটি ফ্ল্যাট কেনার মাধ্যমে। কালো টাকাকে সাদা করার উদ্যোগ নৈতিকভাবে কোনক্রমেই সমর্থনযোগ্য নয়। এটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। যারা বৈধভাবে অর্থ উপার্যন করে ও সঠিকভাবে কর দেয়, তাদের অনুৎসাহিত করে ও বৈষম্য সৃষ্টি করে। এই যে জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হলো, বাজেটের মূল স্লোগান, সেটার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।’