ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাজেটে সরকারের চেষ্টা ছিল ভালো কিছু করার। কিন্তু, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিশন নিয়ে তারা েয বাজেট প্রস্তাব দিয়েছে তা পরিপূরক হয়নি।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর বাংলামটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এই বাজেটে বেকার সমস্যা দূরীকরণে কোনো ধরনের লক্ষণ আমরা দেখতে পাইনি। নতুন বাজেটে তরুণদের বেকার সমস্যা আরও বাড়বে। সরকার চলতি বাজেটে অর্থনৈতিক সমস্যা খুঁজে পেলেও সমাধানের পথ পায়নি। এই বাজেট বাস্তবভিত্তিক হলেও নতুন বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।’
জুলাই অভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেটে ধনী-গরিবের বৈষম্য এবং আয়ের বৈষম্য কমানোর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেন এনসিপি প্রধান।
দলটির আহ্বায়ক নাহিদ বলেন, ‘সরকার সমস্যাগুলো শনাক্ত করতে পারলেও সমাধানগুলো বাস্তবমুখী করতে পারেনি। বাজেটে ধনী-গরিবের বৈষম্য ও আয়ের বৈষম্য কমানোর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘করদাতাদের বিষয়ে বাজেটে আগের মতোই পদক্ষেপ লক্ষ্য করা গেছে। যারা কর ফাঁকি দেয়, তাদের করের আওতায় আনার প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। উলটো মধ্যবিত্তের ওপর চাপ বেড়েছে।’
শিক্ষা ও বিজ্ঞান খাতে নতুন কিছু যুক্ত হয়নি উল্লেখ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেট না বাড়ানোর সমালোচনা করেন তিনি। বাজেট প্রতিক্রিয়ায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বাজেট কমানো উচিত হয়নি বলেও মন্তব্য করেন নাহিদ।
তিনি বলেন, ‘বাজেটে দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর নেই। এ ছাড়া, ই-কমার্সে কর বৃদ্ধি উদ্যোক্তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’ এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদের মতে, বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা উচিত নয়।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম প্রস্তাবিত বাজেটের একটি পুনর্মূল্যায়ন দাবি করেন এবং জনগণের অংশগ্রহণে একটি জনমুখী বাজেট প্রণয়নের আহ্বান জানান। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের আহতদের জন্য বরাদ্দ রাখার বিষয়টিকে সাধুবাদ জানালেও এর সর্বোচ্চ ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতেরও আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি এনসিপিএ’র পক্ষ থেকে একটি বিকল্প বাজেটের খসড়া উপস্থাপনের ঘোষণা দেন, যা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কর কাঠামোতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপিএ’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।