ঢাকা: নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন এলাকার কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে বালু উত্তোলন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত।
জনস্বার্থে এলাকাবাসীর পক্ষে আলোকবালী গ্রামের হানিফা মিয়ার করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ মে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আয়নুন নাহার সিদ্দিকার বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, নরসিংদীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি), সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট নয়জনকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়ার পর মঙ্গলবার (৩ জুন) আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারীর আইনজীবী সিরাজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসকসহ সংশিষ্টদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে কেন পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। এ ছাড়া, জেলা প্রশাসক বরাবর দেওয়া এই সংক্রান্ত আবেদনটি ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।’
গত ১৯ এপ্রিল জেলা প্রশাসককে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, আলোকবালী ইউনিয়নের ১৩৯ জন কৃষকের কয়েকশ বিঘা জমি থেকে স্থানীয় ভূমিদস্যু কাইয়ুম মিয়া অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এতে কৃষকরা জমি হারিয়ে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দফতরে ধরনা দিয়েও কোনো প্রতিকার মেলেনি।