দক্ষিণ কোরিয়ায় দীর্ঘ রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটিয়ে বিরোধী দলের প্রার্থী লি জে-মিয়ং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন।
সরকারি ফলাফলের তথ্যানুযায়ী লি তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, বর্তমান রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির কিম মুন-সু-এর চেয়ে প্রায় ত্রিশ লাখ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
লি জে-মিয়ংয়ের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) প্রার্থী ও সাবেক মন্ত্রী কিম মুন-সু, যিনি নির্বাচনের রাতেই পরাজয় স্বীকার করে লিকে অভিনন্দন জানান।
লি জে-মিয়ং আগেই এক ভাষণে বিজয়ের ইঙ্গিত দিলেও সরাসরি ঘোষণা দেননি। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করাই হবে আমার প্রথম অগ্রাধিকার।’
৬১ বছর বয়সী লি তিন বছর আগে ইউন সুক ইওলের কাছে অল্প ভোটে হেরে গিয়েছিলেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিজয় আসলে ক্ষমতাসীন পিপিপি এবং তাদের ব্যর্থ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে জনরোষের বহিঃপ্রকাশ।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের সামরিক আইন জারির ব্যর্থ চেষ্টার ছয় মাস পরই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যা ব্যাপক প্রতিবাদ সৃষ্টি করে এবং শেষ পর্যন্ত ইউন-এর অভিশংসন ও পদচ্যুতির মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়। তিনি এখনো ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে অপরাধমূলক মামলার সম্মুখীন।
আন্তর্জাতিক পর্যায়েও লির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
লি একাধারে জনপ্রিয় এবং বিতর্কিত। তার কঠোর বক্তব্য, স্পষ্টভাষী আচরণ এবং অজস্র বিতর্কের মাঝেও তিনি একটি শক্তিশালী জনভিত্তি তৈরি করেছেন। শ্রমজীবী পরিবারের সন্তান লি প্রথমে মানবাধিকার আইনজীবী ছিলেন, পরে রাজনীতিতে আসেন এবং ২০২২ সালে ডিপির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন।