সিরাজগঞ্জ: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব, উজানের ঢল, ও টানা বৃষ্টির কারণে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে দ্রুতগতিতে পানি বাড়ছে। এতে ফুলজোড়, করতোয়া, হুরাসাগরসহ চরের নিম্নভুমিতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানি বাড়ার সঙ্গে স্থানীয়দের মাঝে হঠাৎ বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২২ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৬৮ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২.৯০ মিটার)। অপরদিকে জেলার কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮৯ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৮৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ১১ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪.০০ মিটার)।
প্রতিদিন দ্রুতগতিতে পানি বৃদ্ধিতে জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে আগাম বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে নিম্নাঞ্চলের ফসলও তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় আছে চরাঞ্চলের মানুষেরা।
সদর উপজেলা কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামের কৃষক মজিদ আলী বলেন, দুইদিন ধরে যমুনা নদীতে যেপরিমানে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে চরাঞ্চলের নিচু এলাকার জমিতে পানি ওঠতে শুরু করেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে ফসলি জমিতে পানি ওঠে ফসলের ক্ষতি হবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন বলেন, ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাব, পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। পানি বাড়ার হার অনেক বেশি। আরও দুদিন পানি বাড়বে। তবে এ দফায় বন্যা হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।