চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান। তবে কোরবানির হাটকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি-ছিনতাই প্রতিরোধে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে ঈদুল আজহার প্রধান জামাতের স্থান পরিদর্শনের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি নগরীর সাগরিকা, বিবিরহাট ও মইজ্জ্যারটেক গরুর বাজার পরিদর্শন করেন।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের অধিনায়ক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঈদ আমাদের সবচেয়ে বড় এবং আনন্দময় উৎসব। এটি সুন্দরভাবে পালনের জন্য আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করছি। ঈদে নিরাপত্তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো শঙ্কা দেখা যায়নি। তবে আমাদের টহল ও গোয়েন্দা দল কাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় ঈদ জামাতগুলোতে ঈদের আগের দিন এবং ঈদের দিন বোম্ব ডিসপোজাল এবং মাইন্ড সুইপিং টিম কাজ করবে।’
‘নিরাপত্তার জন্য নিয়মিত টহল চলছে, সেটা অব্যাহত থাকবে। বরং বাড়তি টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা আমাদের কমপক্ষে ১০টি করে দল টহল পরিচালনা করছে। এছাড়া গরুর হাটে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা দল আছে। তারা ঈদ জামাতগুলোতেও থাকবে।’
গরুবাহী ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই প্রতিরোধে র্যাব সতর্ক অবস্থানে আছে জানিয়ে হাফিজুর বলেন, ‘কোরবানিকে কেন্দ্র করে যাতে কোন চাঁদাবাজি ছিনতাইয়ের মত অপরাধ সংগঠিত না হয় আমাদের টহল দল সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছে। ফেনী, জঙ্গল ছলিমপুর এবং হাটহাজারিতে প্রতিদিন চেকপোস্ট বসানো হচ্ছে। এক হাটের গরু আরেক হাটে যাতে ছিনতাই হয়ে না যায় সেজন্য চেকপোস্ট চলছে। পাশাপাশি জনগণ যাতে সড়কে ভোগান্তির শিকার এবং তাদের নিরাপত্তায় যাতে কোন বিগ্ঘ্ন না ঘটে সেজন্য নিয়মিত চেকপোস্ট চলছে। আশা করি ঈদ যাতে আনন্দের সঙ্গে করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘গরুর হাট নিয়ে সরকারি একটি নির্দেশনা দেওয়া আছে, যে হাটে গরু নেওয়া হবে সে হাটের একটি ব্যানার ঝোলাতে বলা হয়েছে। এ জন্য যে ডাইভারশন থেকে যেদিকগুলোতে হাটে গরুর গাড়ি যায় সেগুলোতে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। যাতে ট্রাকে যে হাটের ব্যানার আছে সে ট্রাক যেন সেই হাটের দিকে চলে যায়।’
ঈদুল আজহার সার্বিক নিরাপত্তায় র্যাব অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে বলে তিনি জানান।