ঢাকা: আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে পাঁচ ক্যাটাগরির মোট ১৩ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানিসহ ৭টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে প্রায় ৯ হাজার ৯৯৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
এছাড়া বৈঠকে ইতোপূর্বে ক্রয় কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত ৮টি ক্রয় প্রস্তাবের চুক্তিমূল্য সংশোধনের (ভেরিয়েশন) প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশোধিত ৮ প্রস্তাবে মোট ব্যয় বাড়ছে ৮৩২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ১০ হাজার ৮৩০ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, বৈঠকে চলতি পঞ্জিকা বছরের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে পাঁচ ক্যাটাগরির মোট ১৩ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চারটি (এ,বি,সি ও ডি) প্যাকেজের আওতায় সিঙ্গাপুর ভিত্তিক তিনটি প্রতিষ্ঠান- পেট্রোচায়না ইন্টারন্যাশনাল (সিঙ্গাপুর) পিটিই লিমিটেড (প্যাকেজ ‘এ’), ভিটল এশিয়া পিটিই লিমিটেড (প্যাকেজ বি ও সি) এবং সিনোচেম ইন্টারন্যাশনাল অয়েল (সিঙ্গাপুর) পিটিই লিমিটেড (প্যাকেজ ডি) এসব জ্বালানি তেল সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ হাজার ১৩৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
বৈঠকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক এমওপি সার আমদানির দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন ও বিএডিসি’র মধ্যে চুক্তির আওতায় ১ম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টন সার ৩৩৯.৬৩ ডলার দরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এতে ব্যয় হবে প্রায় ১৬৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
অপর প্রস্তাবে রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক কর্পোরেশন (প্রুডিনটর্গ) ও বিএডিসি’র মধ্যে চুক্তির আওতায় ১১তম লটে (ঐচ্ছিক-১ম) ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টন সার ৩৩৯.৬৩ ডলার দরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এতে ব্যয় হবে ১২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে মরক্কোর ওসিপি এসএ থেকে টিএসপিসিএল-এর জন্য ৩০ হাজার মেট্রিক টন রক ফসফেট (৭০ শতাংশ বিপিএল ন্যূনতম) আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘মেসার্স জেনট্রেড এফজেডই’ এ সার সরবরাহ করবে। প্রতি মেট্রিক টন ২৩২.৯০ ডলার দরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এতে ব্যয় হবে ৮৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
অন্যান্যের মধ্যে বৈঠকে বিদায়ী অর্থবছরে পুলিশের অপারেশনাল কাজে ব্যবহারের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২০০টি ডাবল কেবিন পিকআপ ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এসব পিকআপ সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে ১৭২ কোটি টাকা।
এছাড়া বৈঠকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমাজ সেবা অধিদফতর কর্তৃক গৃহীত একই প্রকল্পের দুটি পৃথক কাজ বাস্তবায়নে দুটি পৃথক প্রস্তাবে ইউনিসেফ-কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুটি কাজে মোট ব্যয় হবে আড়াই কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা (১ ডলার=১২৩ টাকা হিসাবে)।