Friday 06 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নোয়াখালীতে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবকে ‘পেটালেন’ কৃষকদল ও যুবদল নেতা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৪ জুন ২০২৫ ২০:৪৩ | আপডেট: ৫ জুন ২০২৫ ১২:১০

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় হরণি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়।

নোয়াখালী: নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় নিজেদের পছন্দের লোককে রশিদ না দেওয়ায় সচিবকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কৃষকদল ও যুবদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। পরে ইউনিয়ন পরিষদে সচিবসহ কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করা হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

বুধবার (৪ জুন) বিকেলে উপজেলার হরণি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জেলেদের চাল বিতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে।

হরণি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলেদের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ও জাটকা অভিযানের চাল একসঙ্গে বরাদ্ধ আসে। তাতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে ৪০ কেজি হারে ৬৩০জন জেলেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আজ নির্ধারিত দিনে বিতরণ করার সময় ছিল। দুপুরে সোহেল ও কবিরসহ কয়েকজন এসে ক্ষিপ্ত হন এবং চালের রশিদ কাকে দেওয়া হয়েছে বলে জানতে চান। পরে বিতরণ বন্ধ রেখে তাদেরকে নিয়ে ওপরে একটি কক্ষে বসে হিসেব বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সোহেল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাগ অফিসার ও গ্রাম পুলিশ এসে তার হাত থেকে আমাকে রক্ষা করে। পরে রুম থেকে বের হলে কবিরের নেতৃত্বে ইটপাটকেল মেরে পুরো পরিষদ তছনছ করা হয়। বিষয়টি তখনি ইউএনও স্যারকে অবিহিত করলে পুলিশ পাঠিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করে।’

হাতিয়া উপজেলা কৃষকদলের উত্তর শাখার আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমি পরিষদের সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হট্টোগল দেখে সেখানে যাই। পরে আমি পরিষদের উপরে গিয়ে দেখি সচিব ও যুবদলের সোহেলসহ একটি কক্ষে পরামর্শ করছে। বাহিরে লোকজনের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এক পর্যায়ে আমি চলে আসি।’

হরণি ইউনিয়ন যুবদলের ৫নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি সোহেল উদ্দিন বলেন, ‘চাল বিতরণ বন্ধ শুনে জেলেরা হট্টোগল করায় আমি সেখানে যাই। সেখানে অনেকে অভিযোগ করেন যারা রশিদ পেয়েছে তারা জেলে নয়। বিষয়টি আমি সচিবকে জিজ্ঞাসা করেছি। তাকে মারার বা তার গায়ে হাত তোলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এই গ্রুপটি অনেক আগে থেকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আজ বিতরণে তারা বাধা দেয়। সচিবে ওপর হামলা করেছে তারা। পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। সচিবকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আপাদত বিতরণসহ পরিষদের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। ঈদের পরে আমি গিয়ে নিজে বিতরণ করবো।’

সারাবাংলা/এমপি

কৃষকদল যুবদল সচিবকে পেটানো