ঢাকা: নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণের জন্য মোবাইল ফোনে ব্যয়ের ওপর চলামন সারচার্জ কাটা বন্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বেসরকারি ভোক্তা অধিকার ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’-সিসিএস।
বুধবার (৪ জুন) পাঁচ মন্ত্রণালয়ের সচিব, এনবিআর, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও চার মোবাইল অপারেটরকে সিসিএস-এর নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদের পক্ষে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একেএম আজাদ হোসাইন।
নোটিশে বলা হয়, পদ্মাসেতু নির্মাণের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের থেকে মোবাইলে খরচের ওপর এক শতাংশ সারচার্জ চালু রয়েছে। ২০১৬ সালে ওই সারচার্জ আরোপ করা হয়, যা বর্তমানে অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে এই সারচার্জের মাধ্যমে ভোক্তাদের থেকে দুই হাজার কোটি টাকারও বেশি আদায় করা হয়েছে। কিন্তু ২০২২ সালে পদ্মাসেতু উদ্বোধন করা হলেও মোবাইল ফোনে সারচার্জ কাটা বন্ধ করা হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, পদ্মাসেতু নির্মাণে ভোক্তাদের থেকে সারচার্জ কাটার জন্য ২০১৫ সালে ‘উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভি (আরোপ ও আদায়) আইন’ করে সরকার। ওই আইনের অধীনে ২০১৬ সালের ১০ মার্চ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে সারচার্জ আদায় শুরু করে সরকার। তবে আইনের ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তৎকর্তৃক আরোপিত শর্তে ও নির্ধারিত মেয়াদে উন্নয়ন সারচার্জ আদায় করতে পারবে। কিন্তু প্রজ্ঞাপনে কোনো মেয়াদ নির্দিষ্ট না করেই সারচার্জ আদায় শুরু হয়। ফলে সারচার্জ আদায় ৯ বছর চললেও তা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেই। যা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
পদ্মাসেতু নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় এবং মেয়াদ নির্দিষ্ট না করে বেআইনিভাবে সারচার্জ আদায়ের মাধ্যমে ভোক্তার স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ফলে ভোক্তা অধিকার সংস্থা হিসেবে সিসিএস এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে। আইনি পদক্ষেপের প্রথম ধাপ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং টেলিটক কর্তৃপক্ষকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে আগামী সাতদিনের মধ্যে মোবাইল ফোনে ব্যয়ের ওপর চলমান এক শতাংশ সারচার্জ কর্তন বন্ধ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে সারচার্জ কাটা বন্ধ না করলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।