Friday 06 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মাধবকুণ্ডের রাস্তায় বার বার ফাটল, পাহাড় ধসের শঙ্কা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৫ জুন ২০২৫ ০৯:৫১ | আপডেট: ৫ জুন ২০২৫ ১২:০৫

মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কে প্রবেশের রাস্তার একাংশ দেবে গেছে।

সিলেট: পাহাড়ি ঢলের কারণে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কে প্রবেশের রাস্তার একাংশ দেবে গেছে। ফেটে গেছে পাশের গাইডওয়ালও। এতে পর্যটকরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।

যদিও রাস্তার দেবে যাওয়া অংশ মেরামত করে সাময়িকভাবে চলাচলের উপযোগী করেছে বনবিভাগ। সতর্কতা হিসেবে সেখানে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে একইস্থান দেবে যায়। পরে সংশ্লিষ্টরা তা মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন-অব্যবস্থাপনার কারণে জলপ্রপাতে যাওয়ার রাস্তাটি দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে ফের রাস্তাটি দেবে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন।

বিজ্ঞাপন

বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বড়লেখা উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল নামে। এতে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কে যাওয়ার রাস্তার ৩১ মিটার দেবে যায়। পাশের গাইডওয়ালেও ফাটল দেখা দেয়। তবে স্থানীয় বনবিভাগ রাস্তার দেবে যাওয়া অংশে ইতোমধ্যে বালুর বস্তা ফেলে তা মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের পর্যটন রেস্তোরার সামনের রাস্তার একাংশ দেবে গেছে। গাইডওয়ালও ফেটে গেছে। বনবিভাগ রাস্তাটির দেবে যাওয়া অংশ মেরামত করে সেখানে সতর্কতামূলকভাবে লাল পতাকা টাঙিয়েছে। জলপ্রপাতে নামার সিঁড়ির নিচের মাটি অল্প অল্প করে সরে যাচ্ছে। এতে তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। পর্যটক সমাগম কম।

মাধবকুণ্ডে সিরাজগঞ্জ থেকে ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী আব্দুল আলিম, আশিক হাসান, আছের উদ্দিন ও রনি আহমেদ বলেন, তারা সবাই শিক্ষার্থী। এখানে তারা প্রথমবার ঘুরতে এসেছেন। এখানকার জলপ্রপাত ও প্রকৃতি মনোমুগ্ধকর। তাদের ভালো সময় কেটেছে। তবে জলপ্রপাতের রাস্তা দেবে যাওয়ার বিষয়টা তারা জানতেন না। এসে শুনেছেন।

স্থানীয় ক্যামেরাম্যান জুয়েল আহমদ বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ভারী বৃষ্টি ও ঢলের কারণে জলপ্রপাতের যাওয়ার রাস্তা দেবে যায়। বর্তমানে এটি মেরামত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন ঈদের সময়। এই সময় আমাদের একটু আয় হয়। তবে কয়দিন ধরে পর্যটকরা খুব কম আসছেন। তবে ঈদে পর্যটকের সমাগম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।’

মাধবকুণ্ড পর্যটন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন সিংহ বলেন, ‘বৈরি আবাহাওয়ার মধ্যে আমরা পর্যটকের নিরাপত্তায় কাজ করছি। ভারী বর্ষণে রাস্তা কিছুটা দেবে গেলেও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। আমরা সবসময় সতর্ক আছি।’

বনবিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. রেজাউল মৃধা বলেন, ‘চার দিনের ভারীবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে এবং ইকোপার্কে যাওয়ার রাস্তাটির প্রায় ৩১ মিটার দেবে গেছে। এর আগেও একবার একইস্থানে দেবে গিয়েছিল। তিনি ইতোমধ্যে দেবে যাওয়া স্থানটি পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে বালুর বস্তা ফেলে তা মেরামত করে পর্যটকের চলাচলের জন্য উপযোগী করেছেন। বিষয়টা তিনি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।’

সারাবাংলা/এমপি

পাহাড় পাহাড়ি ঢল রাস্তা

বিজ্ঞাপন

পশু কোরবানির নিয়ম
৬ জুন ২০২৫ ১৮:৫৯

আরো

সম্পর্কিত খবর