চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঈদুল আজহার দিন বিকেল ৫টার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সকল বর্জ্য অপসারণ করে নগরীকে পরিচ্ছন্ন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে এবার গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া মিলিয়ে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি পশু কোরবানির সম্ভাবনা আছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্ম্মা সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, নগরীতে এবার প্রায় ১০ হাজার মেট্রিকটন কোরবানির বর্জ্য অপসারণের টার্গেট নিয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক।
৩৬৯টি গাড়ি নিয়ে চসিকের নিজস্ব ৩৩০০ শ্রমিকসহ মোট ৪২০০ কর্মী বর্জ্য অপসারণের কাজ করবেন। গাড়ির মধ্যে আছে- ডাম্প ট্রাক, কম্পেক্টর, পে লোডার কাজ করবে। কোনো কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরি চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিমও প্রস্তুত থাকবে।
বর্জ্য অপসারণের জন্য নগরীর ৪১ ওয়ার্ডকে উত্তর ও দক্ষিণ- এ দুটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে পাড়া-মহল্লার অলিগলি থেকে কোরবানির বর্জ্য ও পুরনো খড়কুটোসহ বিভিন্ন আবর্জনা সংগ্রহ শুরু হবে। সেগুলো মূল সড়কে নির্দিষ্ট স্থানে জমা রাখা হবে।
সকাল ৯টা থেকে ট্রাকে করে বর্জ্য আবর্জনাগারে নিয়ে যাবার কাজ শুরু হবে। নগরীর উত্তর-দক্ষিণের ২২টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হবে আরেফিন নগরের আবর্জনাগারে। পতেঙ্গা-বন্দর এলাকার বাকি ১৯টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হবে হালিশহরে আবর্জনাগারে। পাশাপাশি পানি ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে শহরকে পরিচ্ছন্ন করা হবে।
বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য দামপাড়া অফিসে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এছাড়া দুটি হটলাইন নম্বর ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ তাদের অভিযোগ বা পরামর্শ জানাতে পারবেন নিয়ন্ত্রণ কক্ষে।
চসিক কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্ম্মা সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের মেয়র মহোদয় ছয় থেকে আট ঘন্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের একটা সময় বেঁধে দিয়েছেন। সেটাকে ধরেই আমরা বিকেল ৫টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের টার্গেট নিয়েছি। এবার কোরবানি কিছু বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে। এজন্য আমরা ৯ থেকে ১০ হাজার বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নিয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।’
এদিকে কোরবানির পশুর চামড়া নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ করতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন। বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রামগঞ্জের চামড়া যাতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নগরীতে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছেন মেয়র।