ঢাকা: কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে বলে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন, সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, তবে শতভাগ স্বস্তি তো বলা যাবে না। কিন্তু আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে বড় কোনো ধরনের অভিযোগ পাইনি।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঈদপূর্ব যাত্রী সেবা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রেল উপদেষ্টা বলেন, আমরা ট্রেনের ছাদে যাত্রী ওঠার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করছি। আমরা আবারও বলছি, ছাদের ওপর কোনো যাত্রী উঠবে না। জানালা দিয়ে ট্রেনে ভেতরে ঢোকা যাবে না। এটা নিশ্চিত করা হবে।
ফাওজুল কবির খান বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করছে সরকার। ঈদে সবাই যেন ঠিকভাবে গ্রামের বাড়ি যেতে পারেন, আমরা এ বিষয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। ট্রেনে বিনা টিকিটে ভ্রমণের বিষয়ে কঠোরভাবে নজরদারি করা হয়েছে। কমলাপুর রেল স্টেশনে নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা বেস্টনি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এখন ঈদ যাত্রা মানে কয়েকটা বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। তারমধ্যে একটা জিনিস হলো ট্রেনটা সময়মতো ছেড়ে যাওয়া। আমি খোঁজ নিলাম সবগুলো ট্রেন সঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সায়েদাবাদে আরও দেখছি যে, দুইটা জায়গায় বেশি ভাড়া আদায় করা হয়েছে। পরে যাত্রীদের অতিরিক্ত আদায়ের অর্থ ফেরত দেওয়া হয়েছে। যেটাতে বেশি অনিয়ম করা হয়েছে ‘লাল সবুজ পরিবহন’, সেটায় ম্যাজিস্ট্রেট পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
রেল উপদেষ্টা বলেন, যেহেতু এটা আমাদের সবার সরকার, সেহেতু আমরা রেলওয়ে বিভাগ বা সড়ক বিভাগ এভাবে আলাদা আলাদা হিসেবে কাজ করি না। আমরা এখন সরকার হিসেবে কাজ করি। এছাড়া সরকারের বাইরেও যারা বেসরকারি খাতের পরিবহন মালিক শ্রমিক সমিতি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সবার সঙ্গে আমরা একযোগে কাজ করছি। যাতে করে সবার ঈদযাত্রাটা ভালো হয়। আনন্দের হয় এবং তারা হয়রানির মুখে না পড়েন। অতিরিক্ত অর্থ দিতে না হয় সেই জন্য কাজ করছি।
ট্রেন সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের লোকোমোটিভ সংকট আছে। তা সত্ত্বেও আমরা ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়েছি। ৪৪টি অতিরিক্ত কোচ এবং ঈদ উপলক্ষ্যে ৫টা স্পেশাল ট্রেন দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, আরও নতুন কোচ আসবে, সেগুলো এলেই আমরা আরও ফ্রিকোয়েন্সি এবং ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে পারব।
এর আগে, দুপুর ১২টায় কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টার ও প্ল্যাটফর্ম ঘুরে দেখেন তিনি। এ সময় যাত্রীদের টিকিট চেকিং ও তাদের সুবিধা-অসুবিধার খবর নেন।