Friday 06 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চাঁদা চেয়ে জবির শিক্ষার্থীর ওপর হামলা

জবি করেসপন্ডেন্ট
৫ জুন ২০২৫ ২১:৩৫ | আপডেট: ৬ জুন ২০২৫ ১০:৩৭

জবি শিক্ষার্থী মো. মোসাব্বির হোসেন – (ছবি : সংগৃহীত )

সিরাজগঞ্জ: চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা এবং তার বাবার মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আহত শিক্ষার্থীর নাম মো. মোসাব্বির হোসেন (২২)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ধামাইচ বাজার এলাকায় মোসাব্বিরের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ঈদের ছুটিতে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মসিন্দা বাহাদুরপাড়ার এলাকায় নিজ বাড়িতে যান শিক্ষার্থী মোসাব্বির। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি তার বাবার মোটরসাইকেল নিয়ে পার্শ্ববর্তী ধামাইচ বাজারে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী একই গ্রামের বাসিন্দা ও ধামাইচ বাজারের ব্যবসায়ী সাগর হোসেন (২৬), তার বাবা জব্বার মন্ডল (৪৫) ও তার চাচা বোরহান মন্ডল (৪০) মিলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পথরোধ করেন। এ সময় তারা ওই শিক্ষার্থীর কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তবে চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা প্রথমে শিক্ষার্থী মোসাব্বিরের কাছ থেকে মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হলে সংঘবদ্ধভাবে তারা মোসাব্বির হোসেনের উপর লাঠি ও ইট দিয়ে আঘাত করে তাকে আহত করেন।

বিজ্ঞাপন

পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

এ ঘটনায় তাড়াশ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী মোসাব্বির হোসেন জানান, এ ঘটনার আগে ওই সন্ত্রাসীচক্রটি আমার স্কুল শিক্ষক বাবার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিলো। চাঁদা না দেওয়ায় তারা আমাকে হত্যা ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। পরিবারে সদস্যদের বিভিন্ন হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা যে কোনো সময় আবারও হামলা করতে পারে।

তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সাগর। তিনি বলেন, “আমরা মোসাব্বিরকে মারধর করিনি। সে যে ছবি দেখাচ্ছে, সেগুলো কয়েকদিন আগে তার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার ছবি। তবে টাকা চাওয়ার বিষয়টি সত্যি। ২০১৪ সালে আমার বাবা তার (মোসাব্বিরের) বাবাকে বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর কাজে ১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। প্রায় ২০ দিন আগে আমরা তাদের বলেছি টাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, নইলে বাইক নিয়ে বাজারে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পরে মোসাব্বির বাইক নিয়ে বাজারে এলে আমরা বাইকের চাবি নিয়ে নিই, কিন্তু তাকে মারধর করিনি।”

অভিযুক্ত জুব্বার মন্ডল বলেন, “আমরা গাড়ি নিয়েছিলাম এসআই এসে গাড়ি নিয়ে গেছে। ওসি সাহেব থানায় ডাকছেন। আমরা সবাই যাচ্ছি। “

এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম জানান, অভিযোগপত্রটি আমরা হাতে পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ বিষয়ে নিয়ে আমাকে বলেছেন। পুরো বিষয়টা আমরা তদন্ত চলমান রেখেছি। তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারাবাংলা/আরএস

চাঁদা দাবি জবি শিক্ষার্থীর ওপর হামলা