ঢাকা: রাজধানী ঢাকার কোরবানীর পশুর হাট গুলোতে হঠাৎ করে গরুর সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে চড়া দামে গরু বিক্রি করতে পেরে খুশি বেপারীরা। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর গাবতলী, দিয়াবাড়ি, ইস্টার্ন হাউজিং ও কচুক্ষেত এর কোরবানীর পশুর হাট ঘুরে এবং অন্যান্য হাটের খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।

পশুর হাট গুলোতে হঠাৎ করে গরুর সংকট দেখা দিয়েছে। ছবি: সারাবাংলা
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে কোরবানীর পশুর হাট গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু ক্রেতাদের তুলনায় গরুর সংখ্যা খুবই কম। গরু বাঁধার বাঁশ গুলো খালি পরে আছে। বিচ্ছিন্নভাবে কারো কারো কাছে একটি দুটি তিনটি এ রকম গরু রয়েছে। আর হঠাৎ গরুর সংকট তৈরি হওয়ায় অন্য বেপারীরা সুযোগটি কাজে লাগিয়ে গতকালকের চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বেশি দামে গরু বিক্রি করছেন। আর বেশিরভাগ বেপারী গরু বিক্রি করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
ফরিদপুর থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ির হাটে ২৫টি গরু নিয়ে এসেছিলেন রহমত শিকদার। তিনি বলেন, ‘গতকাল দুপুরের ভেতর ১০টি গরু বিক্রি করেছি। আর রাত থেকে এখন পর্যন্ত বাকিগুলো বিক্রি করেছি। আর ৪টি আছে, চলে যাবে। দাম ভালো পেয়েছি।’
মাদারীপুর থেকে ১০টি গরু এনে কচুক্ষেত এর হাটে তুলেছিলেন সালমান। তিনি সবগুলো বিক্রি করে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ভালো দামে সবগুলো গরু বিক্রি করেছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।’
এদিকে, হাটগুলোতে গরুর সংকট দেখে অনেক ক্রেতারাই বাড়তি দামে গরু কিনছেন। দিয়াবাড়ীর হাট থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার দিয়ে একটি সাদা গরু কিনেছেন আদাবর এ বসবাসকারী রাকিব হোসেন। তিনি বলেন, ‘গতকাল কিনলে এই গরু লাখের নিচে কিনতে পারতাম। গরু কম থাকায় আজ দাম বেশি যাচ্ছে।’
গাবতলীর হাটে কথা হয় ক্রেতা শিপনের সঙ্গে। তিনি লালমাটিয়া থেকে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই বাজারে গরু কমে গেছে। কয়েকটি হাটে গিয়েছিলাম আজ। গরু কম থাকায় এই হাটে এসেছি। বাজেটের বাইরে দাম। তাই ঘুরে দেখছি, সাধ্যের মধ্যে পেলে নিয়ে নিব।’
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় ২১টি পশুর হাট বসছে। এর মধ্যে অস্থায়ী হাট ১৯টি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় বসেছে ১০টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় বসেছে ৯টি অস্থায়ী হাট। আর স্থায়ী দুটি হাট হলো গাবতলী ও সারুলিয়া হাট।