খুলনা: রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহূর্তে খুলনায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। এ বছর পশুর হাটগুলোতে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি থাকায় বড় গরুর তুলনায় সেগুলোর দামও বেশি।
সরেজমিনে শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন গরুর হাট ঘুরে দেখাগেছে, সকাল থেকেই কোরবানির হাটে আগ্রহী ক্রেতারা পশু কেনার জন্য ভিড় করতে শুরু করেন। ক্রেতারা প্রতিটি গরু, ছাগল বা কোরবানির পশু পরিদর্শন করে দামদর ঠিক করছেন। দামে পড়লেই ক্রেতারা কিনে নিচ্ছেন পছন্দের কোরবানির পশুটি।

বিক্রেতারা গরু নিয়ে হাটে আসছেন। ছবি: সারাবাংলা
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর প্রাপ্যতা এক লাখ ৬৩ হাজার ৩১টি, এর বিপরীতে চাহিদা এক লাখ ৫৬ হাজার দুইশত ২৮টি এবং উদ্বৃত্ত থাকবে ছয় হাজার সাতশত ৪৬টি। জেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে ২২টি।
খুলনা মহানগরীর জোড়াগেট কোরবানীর পশুর হাটে গরু কিনতে আসা নাহিদ খান বলেন, ‘আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা। নিজের পছন্দের গরুটি কিনতো। তবে বাজারে ছোট ও মাঝারি গরু পর্যাপ্ত থাকলেও দাম বেশি।’
খুলনার রূপসা উপজেলার আলাইপুর পশুর হাটে গরু কিনতে আসা নাইমুল ইসলাম বলেন, ‘হাট থেকে নিজের পছন্দ মতো গরু কিনতে পেরেছি। তবে গতবছর তুলনায় এ বছর গরুর দাম একটু বেশি।’
ওই হাটে ছাগল কিনতে আসা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘গরু কেনার ইচ্ছা থাকলেও অর্থের অভাবে পারিনি। তাই ছাগল কিনতে এসেছি। তবে গতবারের তুলনায় এবছর ছাগলের দাম একটু বেশি।’
মহানগরীর জোড়াগেট কোরবানীর পশুর হাটে গরু নিয়ে আসা ব্যাপারী তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘বড় গরু কেনে খুব কম মানুষ। বাজারে ছোট গরুর ক্রেতার সমাগম থাকলেও বিক্রি কম। গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি।’
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক ডা. মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জেলার কোনো জায়গায় কোরবানির পশুর মাঝে তেমন কোনো রোগ বালাইয়ের খবর আমাদের কাছে নেই। প্রাণী সম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কোরবানির হাটগুলোতে সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছে।’
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. হুমায়ুন কবির জানান, ‘কোরবানির পশুর হাট ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশও পশুর হাটগুলোর সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে।’