রাজবাড়ী: ঈদুল আজহার দিনে কোরবানির পশুর মাংস কাটতে খাইট্টার গুরুত্ব অপরিহার্য। সারা বছর কসাইখানায় এর ব্যবহার হলেও ঈদুল আজহার সময় বাড়িতে বাড়িতে থাকে এর বিপুল চাহিদা। কোরবানির মৌসুমে গ্রাম থেকে শহরের বাড়ি পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ঘটে। মাংস কাটার কাজের সুবিধার্থে বাজার থেকে খাইট্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাজবাড়ী শহরের ভাজনচালার পাটখড়ি বাজারে গিয়ে দেখা যাই তেঁতুল গাছের গুড়ি কেটে মাংস কাটার খাইট্টা তৈরি করা হচ্ছে। আবার কেও বসে বিক্রি করছেন। আকারভেদে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই খাইট্টা।
খাইট্টা বিক্রেতা সুমন বলেন, ‘আমি খড়ির ব্যবসা করি। কোরবানির সময় এই খাইট্টা বিক্রি করি। খাইট্টা তৈরিতে সাধারণত তেতুঁল কাঠ ব্যবহার করা হয়। কারণ তেঁতুল কাঠ অন্য কাঠের চেয়ে শক্ত।’

চলছে খাইট্টা তৈরির কাজ।
তিনি আরও বলেন, ‘মূলত মাংস কাটার কাজে এই খাইট্টা ব্যবহার হয়। কসাইরা পশুর মাংস কাটার কাজে এ খাইট্টা ব্যবহার করেন। ঈদুল আজহার সময় এই খাইট্টার চাহিদা বেড়ে যায়। যারা বাড়িতে পশু কোরবানি দেন তারা অনেকেই কিনে থাকেন। তেঁতুল গাছের গুঁড়ি কিনে আজ প্রস্তুত করছি। আগের কিছু রয়েছে সেগুলো বিক্রি করছি। আকারভেদে ১৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা দাম চাচ্ছি।’
খাইট্রা কিনতে আসা আকবর বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদুল আজহায় শখ করে একটি করে খাইট্টা কিনি। মাংস কাটার কাজে এটি ব্যবহার করি। খাইট্টা কেনাটাও ঈদের একটি আনন্দ। ২৫০ টাকা মাঝাড়ি একটি খাইট্টার দাম চেয়েছিল, দরদাম করে ২০০ টাকায় কিনলাম।’
কাঠ ব্যবসায়ী গৌতম বলেন, ‘তেঁতুলগাছ এখন খুব কম দেখা যায়। যাও পাওয়া যায় অনেক দাম দিয়ে কিনতে হয়। অন্য কাঠের থেকে তেঁতুল গাছ শক্ত হওয়াই এই গাছ দিয়ে খাইট্টা তৈরি করা হয়। বেচাকেনা এখনো জমে নাই। আজ গুঁড়ি কেটে খাইট্টা তৈরি করা হচ্ছে। কোরবানির ঈদে অনেকে বিভিন্ন স’মিল থেকে ছোট ছোট গুঁড়ি ক্রয় করে, আবার অনেকে বাড়ির গাছ বিক্রি করে সেখান থেকেও ক্রয় করে সেগুলো মাংস কাটার উপযোগী করে নির্দিষ্ট মাপে টুকরা করে খাট্টিয়া তৈরি করে বাজারে বিক্রি করা হয়।’