ঢাকা: আজ পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের নামাজের পর মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় রাজধানীজুড়ে শুরু হয়েছে পশু কোরবানি।
শনিবার (৭ জুন) সকাল ৭টার আগেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির দৃশ্য দেখা গেছে। গ্যারেজ, রাস্তাঘাট কিংবা হাউজিং এলাকার নির্ধারিত স্থানে যেখানে সুযোগ মিলেছে, সেখানেই চলছে পশু জবাইয়ের কাজ।
একদিকে, চলছে গরু, ছাগল জবাই, অন্যদিকে মাংস কাটা, বণ্টন ও পরিচ্ছন্নতার কাজ। সবদিকেই উৎসবের আবহ। বাড়ির বৃদ্ধ থেকে শিশু সবার মধ্যেই দেখা যাচ্ছে অন্যরকম আনন্দ।
এদিকে, সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদে দ্রুত বর্জ্য অপসারণে বিশেষ টিম কাজ করছে। ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোরবানির পশুর বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য প্রায় ২০ হাজার ২৬৭ পরিচ্ছন্ন কর্মী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দুই সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দ্রুত ও নির্ধারিত সময়েই বর্জ্য অপসারণে হটলাইন খোলা থাকবে এবং বর্জ্য অপসারণের জন্য প্রায় ১৩ লাখ ৯০ হাজার প্লাস্টিক, পলিব্যাগ ও বায়ো-ডিগ্রেডেবল ব্যাগ সরবরাহ করেছে দুই সিটি কর্তৃপক্ষ।
ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী, কোরবানির পশুর মাংস আত্মীয়স্বজন ও গরিব-দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। অনেক সামাজিক সংগঠন দরিদ্র মানুষের ঘরে কোরবানির মাংস পৌঁছে দিতে কাজ করছে।
জানা গেছে, কেউ কেউ ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও পশু কোরবানি করেন। অনেকে কসাই না পাওয়ায় প্রথমদিন পশু কোরবানি করতে পারেন না। আবার রীতি অনুযায়ীও অনেকে তা দ্বিতীয়দিনে পশু কোরবানি দেন।