Saturday 07 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নেমেছে চসিকের ৪২০০ কর্মী, তদারকিতে মেয়র

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ জুন ২০২৫ ১১:২৪ | আপডেট: ৭ জুন ২০২৫ ১৭:৪৯

চট্টগ্রাম নগরীতে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নেমেছেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। ছবি: সারাবাংলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নেমেছেন সিটি করপোরেশনের ৪২০০ কর্মী। আর মাঠে ঘুরে এ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সরাসরি তদারক করছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

শনিবার (৭ জুন) সকালে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের পরপরই নগরীর পাড়া-মহল্লায়, সড়কে পশু কোরবানি শুরু হয়।

কোরবানির বর্জ্য নেয়ার জন্য ভোর থেকেই প্রস্তুত ছিলেন চসিকের কর্মীরা। মোট ৪২০০ কর্মীর মধ্যে চসিকের নিজস্ব পরিচ্ছন্নতা বিভাগের শ্রমিক ৩৩০০ জন। বাকিদের অন্যান্য বিভাগ থেকে এবং দৈনিক ভাড়ায় এনে কাজে যুক্ত করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

কোরবানির পর বর্জ্য অপসারণে নেমেছেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। ছবি: সারাবাংলা

সকাল ৮টা থেকে ডাম্প ট্রাক, কম্পেক্টর, পে লোডারসহ ৩৬৯টি গাড়ি নিয়ে এসব শ্রমিক পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে বর্জ্য সংগ্রহ করছেন। সঙ্গে সঙ্গে পানি ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে কোরবানির স্থানটিকে পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

দেখা গেছে, প্রথমে পাড়া-মহল্লার অলিগলি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে ভ্যানে করে নেওয়া হচ্ছে মূল সড়কে। সেখানে নির্দিষ্ট স্থানে একসঙ্গে জমা করা হচ্ছে বিভিন্নস্থান থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্য। এরপর ট্রাক কিংবা ভারী যানে তুলে সেসব বর্জ্য নেওয়া হচ্ছে আবর্জনাগারে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্ম্মা সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, নগরীকে দুটি জোনে ভাগ করে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে উত্তর-দক্ষিণের ২২টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে আরেফিন নগরের আবর্জনাগারে। পতেঙ্গা-বন্দর এলাকার বাকি ১৯টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে হালিশহরে আবর্জনাগারে।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে এবার গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া মিলিয়ে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি পশু কোরবানির সম্ভাবনা আছে।

এ হিসেব অনুযায়ী নগরীতে এবার প্রায় দশ হাজার মেট্রিকটন কোরবানির বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি আছে বলে জানালেন চসিকের এ কর্মকর্তা।

চট্টগ্রাম নগরীতে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। ছবি: সারাবাংলা

এদিকে সকালে নামাজ আদায়ের পরপরই বর্জ্য অপসারণের কাজ তদারকিতে মাঠে নামেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে মেয়র পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।

প্রতিবছরের মতো এবারও বিকেল পাঁচটার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে চসিক।

বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য দামপাড়া অফিসে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সেখানে দুটি হটলাইন নম্বর ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কেউ অভিযোগ জানালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সারাবাংলা/আরডি/এমপি

কোরবানির বর্জ্য অপসারণ চট্টগ্রাম নগরী ডা. শাহাদাত হোসেন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর