বাগেরহাট: বাগেরহাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঈদুল আযহা পালিত হচ্ছে। শনিবার (৭ জুন) সকালে বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
প্রথম জামাত সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ইমামতি করেন খানজাহান (রহ.) মাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা খালিদ হোসেন। দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়, এতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন। তৃতীয় ও শেষ জামাতে ইমামতি করেন ষাটগম্বুজ মাদরাসার প্রভাষক ও মৌলভীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ।
এই মসজিদে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহম্মেদ কামরুল হাসান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, জামায়াত নেতা মঞ্জুরুল হাসান রাহাদ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এদিন প্রতিটি জামাতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। মসজিদ প্রাঙ্গণ পরিণত হয় এক মিলনমেলায়।
মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের নিরাপত্তা প্রহরী, জেলা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করেন। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে তিনটি জামাত সম্পন্ন হয়।
নামাজ শেষে জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও ষাটগম্বুজ মসজিদে সুশৃঙ্খলভাবে ঈদুল আজহার জামাত সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের দায়িত্বশীলতায় কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা সমন্বয়ক এমএ সালাম বলেন, ‘১৭ বছর পর নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পেরে আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি।’