কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী-কচাকাটা সড়কের পাশে আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে মিনি জ্বালানি তেলের পাম্প। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই চলছে একাধিক পাম্প। সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ফিলিং স্টেশনের আদলে ডিসপেনসার মেশিন বসিয়ে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন।
এসব মিনি পাম্পের কোনো বৈধ অনুমোদন নেই। অবৈধ উপায়ে ভেজাল তেল সরবরাহ এবং অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠায় বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি।
উপজেলার সোনাহাট ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন মেসার্স রাকিবুল ট্রেডার্স ও রাজু ট্রেডার্স; কেদার দারুসসুন্নত দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন মেসার্স হাসান ট্রেডার্সের নামে অবৈধ ব্যবসা করে আসছে। তাদের প্রতিটি পাম্প প্রতিদিন প্রায় ৩০০ লিটার জ্বালানি তেল বিক্রি করে আসছে।
সরকারিভাবে খোলাবাজারে জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ফিলিং স্টেশন নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি ও নিজস্ব ভবন থাকার নিয়ম থাকলেও, এসব মিনি পাম্প সরকারি রাস্তার পাশেই ভাড়া করা ঘরে অবৈধভাবে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে ভেজাল তেল সরবরাহ এবং মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
নিয়মানুযায়ী তেলের পাম্প স্থাপনে বিধিনিষেধ থাকলেও, এসব অবৈধ ব্যবসায়ী তা অমান্য করে দেদারসে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দুঃখজনকভাবে, স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এই মিনি পাম্পগুলোর বিষয়ে কোনো তথ্য নেই, যা তাদের অবৈধ কার্যক্রমকে আরও সহজ করে তুলছে।
হাসান ট্রেডার্স নামে মিনি পাম্পের মালিক আবু হাসান জানান, এক বছর আগে তিনি ফায়ার সার্ভিস ও ইউনিয়ন পরিষদ হতে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে জ্বালানি তেলের ব্যবসা করছেন। এখনও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র পাইনি।
বিস্ফোরক পরিদফতর, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ও পরিবেশ অধিদফতরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান- সীমান্ত ও আবাসিক এলাকার সরকারি রাস্তার পাশে মিনি পাম্প স্থাপন করে জ্বালানি তেল বিক্রির কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়না।
তবে মিনি পাম্প ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, তারা নিয়ম মেনে ব্যবসা করছেন। সব অনুমোদন আছে। তারা ডিলারদের কাছ থেকে তেল এনে মজুত করে বিক্রি করেন।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. গোলাম ফেরদৌস বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই করে শীঘ্রই অবৈধ পাম্পগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।