রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে কিয়েভের শক্তিশালী হামলার কয়েক দিন পরেই ইউক্রেনজুড়ে বড় ধরনের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৬ জুন) ভোররাতে এই হামলা চালানো হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এই হামলায় ৪০০ ড্রোন ও ৪০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনীর দাবি, এর মধ্যে ৪০৬টি লক্ষ্যভ্রষ্ট করা হয়েছে।
সম্প্রতি ইউক্রেনের ‘স্পাইডারওয়েব’ অভিযান রাশিয়ার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রবাহী বিমানের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। রাশিয়া এ ঘটনায় প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ইউক্রেনের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি কেবল পালটা প্রতিক্রিয়া নাকি আরও বড় মাত্রার হামলার সূচনা—তা এখনো স্পষ্ট নয়।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রিয়ি সিবিহা বলেন, রাশিয়া ধ্বংসপ্রাপ্ত বিমানগুলোর প্রতিশোধ হিসেবে আবারও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনও পালটা হামলায় দুটি রুশ বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। এতে কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে বাসভবন, যানবাহন ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন পুতিনকে পালটা হামলার অজুহাত দিয়েছে।