ঢাকা: বাংলাদেশ ফুটবল দলের সদস্যদের জন্য এবারের পবিত্র ঈদুল আজহা একটু আলাদা। তবে তার চেয়েও একটু বেশি অন্যরকম আলাদা হামজা চৌধুরী, ফাহামেদুল ইসলামদের জন্য। জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর প্রথম ঈদুল আজহা, সেটা আবার তাকে পালন করতে হচ্ছে দলের সঙ্গেই।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে প্রবাসী ফুটবলাররা এখন বাংলাদেশে। ক্যাম্প উপলক্ষ্যে জাতীয় দল এখন রাজধানী ঢাকার শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থান করছে।
শনিবার (৭ জুন) রাজধানীর পরিবাগের একটি মসজিদে নামাজ পড়েছেন হামজা, ফাহমিদুল, জামালরা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) দেওয়া সাদা পাঞ্জাবি পরে ফুটবলাররা সবাই একসঙ্গে যান ঈদের নামাজ পড়তে।
বাংলাদেশের এই স্কোয়াডের অধিকাংশ খেলোয়াড়ের ঈদুল আজহা একসঙ্গে উদযাপন করার অভিজ্ঞতা আছে। ২০২৩ সালে খেলতে বাংলাদেশ যখন ছিল ভারতে, তার মাঝেই এসেছিল ঈদুল আজহা। তখন দলের সবাই একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছিলেন।
তবে এবারের প্রেক্ষাপটটা আলাদা। আগের বার বিদেশের মাটিতে ঈদের নামাজ পড়েছেন, ঈদ উদযাপন করেছেন। তবে এবার দেশের মাটিতে থেকেও পরিবার পরিজনদের সঙ্গে ঈদ করা হচ্ছে না খেলোয়াড়দের।
এদিকে, হামজা চৌধুরীর জন্য দিনটা ‘স্পেশাল’। ঈদুল ফিতরে তিনি ফিলিস্তিনের পতাকা অঙ্কিত এক ব্রেসলেট পরে নামাজে গিয়েছিলেন। সেই তিনি এবার দলের সঙ্গে নামাজ আদায় করছেন। একই রকম স্পেশাল ফাহামেদুলেরও।
ঈদের দিনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের একটি ভিডিওতে দেখা যায় টিম হোটেল থেকে পুরো দল একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলেন। দলের খেলোয়াড় থেকে শুরু করে বাকি সব সদস্যের গায়েই ছিল একই রকম পোশাক। সবার পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি, সাদা পাজামা।
টিম হোটেল থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নামতেই ভক্তরা ভীড় করেন হামজাদের ঘিরে। একই দৃশ্যের দেখা মিলেছে নামাজ শেষেও। তাদের ঘিরে সেলফি শিকারীদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
উল্লেখ্য, ভুটানের বিপক্ষে ২-০ গোলে দারুণ জয়ের পর বাংলাদেশ এখন দারুণ নির্ভার। যদিও দলের বড় পরীক্ষাটা হবে আগামী ১০ জুন। সেদিন বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে খেলবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে।