কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শুরু হয়েছে। তবে চাহিদা ও দামের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় এবারও হতাশায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রোববার (৮ জুন) বিকেলে কুষ্টিয়ার একমাত্র চামড়া পট্টিতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চামড়ার দাম নিয়ে দর কষাকষি করতে দেখা যায়। অনেকে তাদের কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে কম দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। এতে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এবারও ব্যবসায়ীরা চরম হতাশ। সরকার নির্ধারিত দামের সঙ্গে মাঠ পর্যায়ের দামের বিশাল ফারাক, ট্যানারি মালিকদের বকেয়া পরিশোধ না করা, এবং লবণ ও শ্রমিকের উচ্চ মূল্য—সবকিছু মিলে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের লোকসানের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চামড়া শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে গভীর অনিশ্চয়তা।
জানা গেছে, সরকার ঢাকার বাইরে গরুর চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করে ১১৫০ টাকা। তবে কুষ্টিয়ার চামড়া পট্টিতে প্রতি পিস মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত। আর খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকায়।
মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী আমিন হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমানে চাড়মার যে দাম তাতে রাস্তা খরচ ও হচ্ছে না। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সে দামে বিক্রি করতে পারছি না।’
একাধিক চামড়া ব্যবসায়ীরা সারাবাংলাকে বলেন, ‘ট্যানারি মালিকরা বকেয়া পরিশোধ করেনি। অন্যদিকে চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের দাম ও শ্রমিকের মূল্যও অনেক বেশি।’
এমন পরিস্থিতি কেবল বর্তমান ব্যবসায়ীদেরই ক্ষতিগ্রস্ত করছে না, বরং চামড়া শিল্পের সামগ্রিক ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে- ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পের উপর নির্ভরশীল হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা ঝুঁকিতে পড়বে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।