অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার ইস্যুতে উত্তাল আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলস। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। ন্যাশনাল গার্ডের দুই হাজার সদস্য মোতায়েন করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। মূলত ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ ধরপাকড় ঘিরে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
গেল শুক্রবার (৬ জুন) থেকে সেখানে চলছে বিক্ষোভ। প্রতিদিন বাড়ছে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা। রাস্তায় পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি। স্থানীয় সময় রোববার (৮ জুন) রাতে শুরু হয় দোকান লুট। এরই মধ্যে বেশকিছু দোকানে লুটের অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (৯ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আলজারিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ দমনের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার বদলে আরও খারাপ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এ সময় তাদের ওপর রাবার বুলেট আর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রোববার (৮ জুন) নিউ জার্সিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, আমার একটা ছোট বক্তব্য আছে। তারা থুতু ছিটিয়েছে, আমরা জবাব দিয়েছি।
স্থানীয়রা দাবি করেন, বাড়ির বাইরে থেকে আরও অভিবাসীদের আটক করা হয়েছে। এ সময় দাঙ্গা পোশাক ও গ্যাস মাস্ক পরা নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
প্রতিবাদকারীরা স্লোগান দেন, ‘আইসিই এখান থেকে বেরিয়ে যাও। আমরা জানি তোমরা কী। এখানে তোমাদের জায়গা নেই।’ এক প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘কোনো মানুষই অবৈধ নয়।’
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ডের দুই হাজার সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দেন।
হোয়াইট হাউজেরর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি প্রেসিডেনশিয়াল মেমোরেন্ডামে সই করেছেন। যার মাধ্যমে ন্যাশনাল গার্ডের দুই হাজার সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির প্রতিকারে।