রাজবাড়ী: ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গোদারবাজার এলাকায় পদ্মা নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্র ‘পদ্মাপুলকে’ মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ গোদারবাজারের পদ্মাপুলকে ছুটে এসেছেন। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে এই পর্যটন কেন্দ্রটি।
সোমবার (৯ জুন) বিকেলে ঈদের তৃতীয় দিনে গোদারবাজার পদ্মার পাড়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
পদ্মার পাড়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা সেলফি তুলছেন, ইঞ্জিন চালিত নৌকায় ঘুরছেন, আবার অনেকে নদীর পাড়ে বসে সময় কাটাচ্ছেন। দর্শনার্থীদের জন্য পদ্মার পাড়ে ফুচকা, চটপটি, পাপড়, বাদাম, আইসক্রিম, ঝালমুড়িসহ বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবারের অস্থায়ী দোকান বসেছে। এই দোকানগুলোতেও রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। এছাড়া রয়েছে খেলনার দোকান ও কসমেটিকসের দোকান। শিশু ও কিশোরদের বিনোদনের জন্য রয়েছে নাগরদোলা ও ম্যাজিক বোটসহ বিভিন্ন প্রকার রাইড।
ঘুরতে আসা অনিক সরদার বলেন, ‘রাজবাড়ীতে তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই। গত কয়েকদিন ধরে দেখছি অনেকে ‘আই লাভ রাজবাড়ী পদ্মাপুলক’ থেকে ছবি তুলে ফেসবুকে দিচ্ছে। আজ আমিও পরিবার নিয়ে এসেছি। এসে পদ্মাপুলক থেকে ছবি তুলেছি এবং নৌকায় ঘুরেছি।’
দর্শনার্থী অন্তরা আক্তার বলেন, ‘অনেক আগে এখানে ‘বন্ধন’ তৈরি করা হয়েছিল। অনেক দূর দূরান্ত থেকে লোক আসত। সেটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এবার ‘পদ্মপুলক’ তৈরি করেছে, এটা দেখার জন্য অনেক লোক এসেছে। আমরাও আজ বন্ধুরা মিলে এখানে ঘুরতে এসেছি।’
ফুচকা বিক্রেতা সালাম মিয়া বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে পদ্মার পাড়ে ভিড় বেড়েছে। আমাদের বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে। তবে সারা বছর যাতে এই পদ্মার পাড়ে দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আগে বসার ব্যবস্থা ছিল না, সবাই নদীর সিসি ব্লকের ওপর বসতো। এখন বেশ কিছু বেঞ্চ বসানো হয়েছে।’
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, ‘রাজবাড়ীতে বিনোদন কেন্দ্র নেই বললেই চলে। আমি জেলায় যোগদানের পর গোদারবাজার পদ্মার পাড়টা আমার নজরে আসে। গোদারবাজার পদ্মার পাড়ে পর্যটকদের বসার জন্য ১০টি বেঞ্চ, গোলঘর বানানো হয়েছে। এছাড়াও পর্যটকদের জন্য ওয়াশ ব্লকের কাজ চলমান রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে খুব শিগগিরই সোলার লাইট বসানো হবে। আমরা চেষ্টা করছি গোদারবাজার পদ্মার পাড়কে একটি পর্যটন পয়েন্টে রূপান্তরিত করার।’