ঢাকা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কারাগারে যারা বিচারাধীন তাদের এক ধরনের এবং যাদের বিচার হয়ে গেছে তাদের আরেক ধরনের। আর যারা ডিভিশনপ্রাপ্ত তাদের আরেক ধরনের খাবার দেওয়া হয়। কারাগারে বন্দিদের জিজ্ঞাসা করে জানলাম তাদের খাবার নিয়ে অভিযোগ নেই। খাবার আমি নিজেই চেক করে আসছি।
মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এবং কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘ভিআইপি কারাবন্দিরা আজ বলবে রুই মাছ খাবো, কাল বলবে পাঙাস মাছ খাবো, আরেকদিন বলবে মুরগির মাংস খাবো। তারা যে অর্ডারটা দেয় ওটাই দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি কারাগারটা সংশোধনাগার সেন্টার হিসেবে করতে চাচ্ছি। যেখানে বন্দিরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাজ করতে পারবে এবং সেই উপার্জন থেকে পরিবারকেও সহায়তা করতে পারবে। এতে তার পরিবারটা ভালো চলবে। সে যখন ছাড়া পাবে তখন সমাজে অন্যান্যদের সঙ্গে মিশতে পারবে এবং কাজও করতে পারবে।’
পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেলসুপার আল মামুন, মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে জেলসুপার কাওয়ালীন নাহার, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খানসহ কারাঅধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।