গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিএনপি নেতা ইলিয়াস মিয়াকে খুনের ঘটনায় স্বপ্না বেগম নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় মামলার প্রধান আসামি যুবলীগকর্মী সুমন মিয়ার বাড়ির পাশের পুকুর থেকে ৫টি হাসুয়া ও একটি বেঁকি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার স্বপ্না বেগম আসামি সুমন মিয়ার ভাবী। এনিয়ে এ মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এরআগে নিহত ইলিয়াস মিয়ার চাচা মুজবুর রহমানকে গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদারতে পাঠানো হয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামসুল ইসলাম জানিয়েছেন।
নিহত ইলিয়াস মিয়া উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র (খানাবাড়ি) গ্রামের মৃত আব্দুল ব্যাপারীর ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন-আহ্বায়ক ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৭ জুন) বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইলিয়াস মিয়া। এর আগের রাতে (বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে) মাছের খামার থেকে বাড়ি ফেরার সময় গান্ডার বিলের ধারে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ব্যাপক মারপিট করলে ইলিয়াস মিয়ার আর্ত-চিৎকারে অন্যান্য লোকজন ছুটে আসতে দেখে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ইলিয়াস মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান স্থানীয়রা।
রোববার (৮ জুন) বিকালে পারিবারিক গোরস্থানে ইলিয়াস মিয়ার মৃতদেহ দাফন সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় ইলিয়াস মিয়ার স্ত্রী লিপি বেগম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জেলা ও উপজেলা বিএনপিসহ অন্যান্য সহযোগি সংগঠন দফায় দফায় খুনীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ করে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন থেকে আসামীদের সঙ্গে ইলিয়াস মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশে অমিমাংসীত বিষয়টি নিয়ে চাপাক্ষোভ সৃষ্টি হতে থাকে। একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের রূপ নেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (উপ-পরিদর্শক) শামসুল ইসলাম মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ জানান, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।