কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মাংস চুরির অভিযোগে রিনা খাতুন (৪০) নামে এক নারীকে গাছে বেঁধে মারধর ও মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক হওয়া তিন নারীকে ছাড়াতে থানা ঘেরাও করেছে তাদের স্বজনরা।
বুধবার (১১ জুন) বেলা ১১টার দিকে থানা ঘেরাও করা হয়। এর আগের দিন মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় মামলা দায়ের করলে তিন নারীকে আটক করা হয়।
আটক নারীদের স্বজনদের দাবি, পুলিশ মিমাংসা করার আশ্বাসে থানায় ডেকে নিয়ে এসে তাদের আটক করেছে। পরে পুলিশ পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৯ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে প্রতিবেশী রিপন আলীর ঘরে ঢুকে ফ্রিজ থেকে মাংস চুরির অভিযোগ তুলে রিনা খাতুনকে গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয়। এরপর রিনার স্বামী জাহাঙ্গীর এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। এরপর স্থানীয় নজরুল, কাশেম, রিপনসহ শতাধিক নারী-পুরুষ রাত ৮টার দিকে রিনার বাড়ি ভাঙচুর করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। ফের রিপনের বাড়ি নিয়ে এসে তাকে ব্যাপক মারপিট ও মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়।
পরে সেখানে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বর শাহ আলমের উপস্থিতিতে সালিশ বসিয়ে রিনার দুইটি গরু, একটা ছাগল ও স্বর্ণালংকারের বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রিনা বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
এঘটনায় মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী রিনা খাতুন। এরপর সকালে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন নারীকে আটক করলে তাদের স্বজনেরা ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য থানা ঘেরাও করেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান শেখ জানান, এঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনজন নারীকে আটক করা হয়েছে। তাদের পরিবারের লোকজন মিমাংসার দাবিতে থানায় একটু হট্টগোল করেছিল। আপাতত পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে রয়েছ।