ঢাকা: দেশে ফের করোনা ভাইরাসে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। ফলে সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের সব স্থল, নৌ, বিমান বন্দরের আইএইচআর ডেস্কসমূহে নজরদারি জোরদারসহ জনসাধারণের জন্য সাতটি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া, যাদের কখনোই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি তাদের অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদফতর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা ভাইরাসের কয়েকটি নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। টিকার কিট ইতোমধ্যে আমরা সংগ্রহ করেছি। যেখানে আর্টিফিশিয়ালি হয় সেখানে এখনো পরীক্ষা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এ জন্য যথেষ্ট সংখ্যক কিট আমরা সংগ্রহ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে ২৮ হাজার র্যাপিড এন্ডিজেন্ট কিট এসেছে। আরও ১০ হাজার আর্টিফিশিয়াল এন্টিজেন্ট ও কিট আজকের মধ্যেই আমরা পাবো।’
স্বাস্থ্য অধিদফতর মহাপরিচালক বলেন, ‘সব ধরনের রোগীর করোনা পরীক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র যাদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট বা অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে এবং যারা জটিল অবস্থায় রয়েছে, তারাই করোনা পরীক্ষা করাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যাদের কখনোই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি তাদের অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে। বিশেষ করে ১৮ বছরের ওপরে যারা ডিফারেন্ট কন্টাক্ট পারসনের সঙ্গে কাজ করেন ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ভ্যাকসিন দিতে হবে এবং পুরাতনদের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সচেতনতা বৃদ্ধি ও সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ৭টি নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলোগুলো হলো-
- জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। একান্ত প্রয়োজন হলে অবশ্যই মাস্ক পরুন।
- শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে বাঁচতে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন।
- হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখুন (কনুই বা টিস্যু ব্যবহার করে)।
- ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলুন।
- সাবান ও পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে ফেলুন।
- অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ করবেন না।
- আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।