চট্টগ্রাম ব্যুরো: চার রোগী শনাক্তের পর করোনা মোকাবেলায় জরুরি সভায় বসেছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বন্দরনগরীতে স্থানীয়ভাবে করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে উল্লেখ করে মেয়র আগের মতো সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে করোনা মোকাবেলার তাগিদ দিয়েছেন। একইসঙ্গে মেয়র চট্টগ্রামবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এবং সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে নগরীর টাইগারপাসে নগর ভবনে চসিকের সম্মেলন কক্ষে করোনা মোকাবেলায় এ প্রস্তুতি সভা হয়েছে। সভায় সিভিল সার্জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় গত ৪৮ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে চারজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্তের তথ্য দিয়েছে। এদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও দুজন নারী। তিনজন নগরীর বাসিন্দা, একজন মীরসরাই উপজেলার বাসিন্দা।
প্রথম দফায় শনাক্ত তিনজনের তথ্য উল্লেখ করে মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, ‘তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যারা কেউ বিদেশফেরত নন। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে তারা সংক্রমিত হয়েছেন—এটি স্থানীয় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ার ইঙ্গিত।’
‘আমরা সবাই একসাথে কাজ করলে আগের মতো এবারও সফলভাবে করোনা মোকাবেলা সম্ভব হবে।’
সভায় মেয়র জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক), বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা শনাক্তে আরটিপিসিআর টেস্ট চালু থাকবে। নগরীর বিভিন্ন স্থান ও চসিকের মেমন-২ হাসপাতালে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থাও থাকবে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও চসিকের মেমন-২ হাসপাতালকে দ্রুত কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও করোনা চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চসিক একটি সার্ভিস সেন্টার চালু করতে যাচ্ছে, যেখানে নাগরিকরা ফোন করে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন বলে মেয়র জানান।
করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র সচেতনতা, উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাস আবারও সকলে মেনে চলতে হবে।’
‘গতবার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাস্ক, টিকা ও মেডিকেলসামগ্রী নিয়ে ব্যবসা করেছে। এবার জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ম্যাজিস্ট্রেট দল নিয়মিত বাজার তদারকিতে থাকবে। চসিকের ম্যাজিস্ট্রেটরাও প্রয়োজন অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করবে।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রূ মারমা, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দীন, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম হোসেন এবং চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা।