ঢাকা: পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির মধ্যেও রোগীদের কথা চিন্তা করে সেবাদান অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগ চালু রেখে ঈদের ছুটির তিন দিনে ২৪৪০ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ইনডোর ও জরুরি বিভাগ প্রচলিত নিয়মে খোলা রয়েছে।
বুধবার (১১ জুন) বিএমইউ এর জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার (১১ জুন) ছুটির তৃতীয় দিনে বহির্বিভাগ-১ ও বহির্বিভাগ-২ মিলিয়ে আরও ১ হাজার ৫৮০ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে এই সেবা কার্যক্রম।
এর আগে ৫ জুন (বৃহস্পতিবার) ও ৮ জুন (রোববার) একই সময়সূচিতে বহির্বিভাগ খোলা ছিল। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, রেসিডেন্ট, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আনসার বাহিনীর সদস্যসহ ৫ শতাধিক জনবল পুরো ব্যবস্থাপনাটি সফলভাবে পরিচালনায় অংশ নেন। সবমিলিয়ে গত তিন দিনে মোট ২ হাজার ৪৮০ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
ছুটির মধ্যে বহির্বিভাগ চালু রাখার উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের নির্দেশে। তিনি ৫, ৮ ও ১১ জুন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগ খোলা রাখার নির্দেশ দেন। বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মো. মোছলেহ উদ্দিন। এছাড়াও তৃতীয় দিনের মতো সরেজমিনে চিকিৎসাসেবার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন বিএমইউর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও প্রদান করেন।
তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার শফিকুল হাসান রতন, উপাচার্যের একান্ত সচিব-১ সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লব, নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামসুল আলম সবুজ, এবং উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মো. আবু নাছেরসহ অন্যান্যরা।
পবিত্র ঈদুল আজহার দিন (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় বিএমইউ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোছলেহ উদ্দিন, একান্ত সচিব ডা. বিপ্লব, উপ-রেজিস্ট্রার-১ ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ, এবং অন্যান্য শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। ঈদের জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুল আহাদ। বিশেষ দোয়া-মোনাজাতে দেশ ও জাতির অগ্রগতি, রোগীদের সুস্থতা এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
ঈদের দিন ভর্তিকৃত রোগীদের জন্য পরিবেশন করা হয় উন্নতমানের খাবার। বিষয়টি তদারকি করেন ভাইস-চ্যান্সেলর ডা. শাহিনুল আলম নিজে থেকে। এই উদ্যোগে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে ব্যাপক সন্তুষ্টি দেখা যায়।
পবিত্র ঈদুল আজহার পরবর্তী ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে ১৪ জুন শনিবার, সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস ও হাসপাতাল পুরোপুরি খোলা থাকবে। এই পুনর্মিলনীতে অংশ নেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট, নার্স, কর্মচারীসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিএমইউ রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৬, ৭, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ জুন বহির্বিভাগ বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে ১৩ জুন (শুক্রবার) সাপ্তাহিক ছুটির আওতায়। এ সময় (৫ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, অফিস, বিকাল বেলার স্পেশালাইজড কনসালটেশন ও সুপার স্পেশালাইজড সেবাও বন্ধ থাকবে।