যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা ব্যর্থ এবং এ নিয়ে সংঘাত শুরু হলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইরান।
বুধবার (১১ জুন) সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে এমন হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইরানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অন্যপক্ষের (যুক্তরাষ্ট্র) কিছু কর্মকর্তা যদি আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে সংঘাতের হুমকি দিচ্ছেন। যদি কোনো সংঘাত আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমাদের নাগালের মধ্যে থাকা সব মার্কিন ঘাঁটিতে সাহসিকতার সঙ্গে হামলা চালাবো।’
ব্রিফিংয়ে তিনি আরও জানান, তেহরান সম্প্রতি দুই টনের ওয়ারহেডসহ একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, ইরান যদি পারমাণবিক চুক্তি না করে তাহলে তিনি দেশটিতে বোমাবর্ষণের নির্দেশ দেবেন।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো আলোচনা হবে।
ট্রাম্প বলেছেন, আলোচনা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে এবং তেহরান বলেছে, আলোচনাটি আগামী রোববার ওমানে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ইরান চুক্তির একটি প্রস্তাব প্রস্তাব দেবে বলে আশা করা হচ্ছে । এর আগে যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে তা প্রত্যাখ্যান করেছিল ইরান।
গত মঙ্গলবার (১০ জুন) ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার মনে হচ্ছে ইরানের সঙ্গে চুক্তি হবে না। ইরান পারমাণবিক আলোচনায় চুক্তির জন্য আগে আগ্রহ দেখালেও এখন ‘অনেক বেশি আক্রমণাত্মক’ হয়ে উঠছে।
অন্যদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বুধবার এক্স-এ এক পোস্টে বলেছেন, ‘রবিবার যখন আমরা আলোচনা পুনরায় শুরু করছি, তখন এটা স্পষ্ট যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির শান্তিপূর্ণ প্রকৃতি নিশ্চিত করতে পারে। এমন একটি চুক্তি নাগালের মধ্যে রয়েছে এবং দ্রুত তা অর্জন করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন- যুক্তরাষ্ট্র কখনোই ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেবে না: ট্রাম্প
মূলত ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়টি নিয়ে তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, এর মাধ্যমে ইরান ব্যাপকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে, তবে ইরানের দাবি- তারা পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
যদিও ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, ইরানের উচিত তার সামরিক বাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র আরও উন্নত করা।