Friday 13 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মে মাসে সড়কে ৬১৪ জনের প্রাণহানি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১২ জুন ২০২৫ ১৮:৫১ | আপডেট: ১২ জুন ২০২৫ ২২:৪৩

ঢাকা: গত মে মাসে দেশে ৫৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬১৪ জন নিহত ও এক হাজার ১৯৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মে মাসে সারাদেশে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে।

সংগঠনটি জানায়, দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মে মাসে সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে ৬৫২টি দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৬৫৮ জনের, আহত হয়েছেন এক হাজার ২১০ জন। সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ছিল সর্বোচ্চ ২৩৩টি ঘটনায় ২৫৬ জন নিহত।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৩৯টি দুর্ঘটনায় ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর বরিশালে সর্বনিম্ন ৩০টি দুর্ঘটনায় নিহত ৩০ জন।

দুর্ঘটনার ৪৯ দশমিক ৭ শতাংশ ঘটেছে গাড়ি চাপায়, ২৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষে এবং ২০ দশমিক ১০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দুর্ঘটনাগুলোর কারণ হিসেবে যেসব বিষয় চিহ্নিত করেছে সেগুলো হলো-

দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশার অবাধ চলাচল। জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো। জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুঘটনায় পতিত হয়েছে। মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা। উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহণ। অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।

এদিকে দুর্ঘটনা কমাতে ১০টি প্রস্তাবনা দিয়েছে সংস্থাটি। এগুলো হলো-

  • মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশার আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ,
  • মহাসড়কে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা,
  • দক্ষ চালক গড়ে তোলা ও ডিজিটাল ফিটনেস যাচাই,
  • ধীর-দ্রুত যান চলাচলের জন্য পৃথক লেন,
  • সড়কে চাঁদাবাজি রোধ,
  • চালকদের জন্য নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও বেতন, ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের সুযোগ নিশ্চিত করা,
  • ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নে প্রযুক্তির ব্যবহার,
  • আধুনিক বাস সার্ভিস গড়ে তোলা, বিআরটিএ’র সক্ষমতা বাড়ানো,
  • মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও রোড সেফটি অডিট এবং
  • মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করা।

সারাবাংলা/এনএল/ইআ

যাত্রী কল্যাণ সমিতি সড়ক দুর্ঘটনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর