রাজবাড়ী: শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজবাড়ীতে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে রাজবাড়ী জেলা শাখা জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের আয়োজনে ফিতা কেটে এই মেলার উদ্বোধন করেন নেতৃবৃন্দরা।
এ সময় জিয়া স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব তুহিনুর রহমান, রাজবাড়ী জেলা জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি মো. আব্দুস সালাম মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক এস এম জান্নাতুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিখন, মিজানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, রাজবাড়ী পৌর বিএনপির সদস্য কাজী আরাফাত হোসেন জিসান, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান, সদস্যসচিব মো. শাহিনুর রহমান, রাজবাড়ী সদর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল প্রামাণিক, সাধারণ সম্পাদক প্যারিস হোসেন, সহ-সভাপতি মো. হীরা শেখসহ জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
জিয়া স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. তুহিনুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের যে কার্যক্রম পরিচালিত হয় তারই ধারাবাহিকতায় সারা বাংলাদেশে ১৫টি জিয়া স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধন করেছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই ১৫টির মধ্যে রাজবাড়ীতেও একটি জিয়া স্মৃতি পাঠাগার করা হয়। সারা বাংলাদেশের ন্যায় আমরা রাজবাড়ীতেও বইমেলার উদ্বোধন করলাম।‘
তিনি আরও বলেন, ‘বই হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহার। জিয়া পরিবার, জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে হলে বই পড়তে হবে এবং বই সংগ্রহ করতে হবে। আপনি এই বইটা সংগ্রহ করলে আপনার পরবর্তী প্রজন্ম এই বইটা সম্পর্কে জানতে পারবে। জিয়াউর রহমান কে ছিলেন এটা জানানোই মূলত জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের কাজ। আমরা এই ইতিহাসকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চাই। এই ম্যাসেজটা নিয়েই জিয়া স্মৃতি পাঠাগার সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।‘
মেলা উদ্বোধন শেষে নেতাকর্মীরা জিয়া স্মৃতি পাঠাগার থেকে বই ক্রয় করেন।